চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের ঘরের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে নিকলাস ফুলক্রুগের দেয়া একমাত্র গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধে লক্ষ্যে কোনো শট রাখতে না পারা ফরাসি ক্লাবটি বিরতির পর বলে দখল, ধারালো আক্রমণ করেও পোস্টের বাধায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। তাই ঘরের মাঠে জিতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রইল ডর্টমুন্ড।
ম্যাচ শুরুর১৪তম মিনিটেই ম্যাচের প্রথম শট নেয় ডর্টমুন্ড মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিৎজার বল পান বক্সে। যদিও দুরূহ কোণ থেকে তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
৩৬তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্ডার নিকো শ্লটারবেক বল বাড়ানো বলে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা ফুলক্রুগ। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মান ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকে পিএসজি। ৪৮তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেন বারকোলা। যদিও সেই শট ঠেকিয়ে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক।
৫১তম মিনিটে প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে শট লাগে দূরের পোস্টে।এরপর আশরাফ হাকিমির নিচু শটও লাগে আরেক পোস্টে। এরপর ৬০তম মিনিটে ফুলক্রুগ আরও একবার দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন।
৭২তম মিনিটে এমবাপ্পের পাসে উসমান দেম্বেলের শট ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক। ৮০তম মিনিটে দেম্বেলের আরেকটি শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে এই নিয়ে ৭ জয় ও ৪ ড্র নিয়ে টানা ১১ ম্যাচে অপরাজিত থাকল ডর্টমুন্ড।
এর আগে ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরে নিজেদের ম্যাচ শুরু করেছিল ফরাসি দলটি।
গ্রুপ পর্বেও এ মাঠেই ১-১ ড্র করেছিল পিএসজি। তাই ফাইনালে উঠতে আগামী ৮ মে নিজেদের ঘরের মাঠে প্রাণপণেই করবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।