২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

হাঁসফাঁস করা উইকেটে হায়দ্রাবাদের আরেকটি হার

- Advertisement -

বল পায়ের ওপরই ওঠে না, পারলে গড়িয়ে যায়- এমন উইকেটে তো রান তোলাই কঠিন। তবে সেই কঠিন কাজটিকেও শারজাহতে যেন সাময়িকভাবে সহজ করে তুলেছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জেসন হোল্ডার। শারজাহর ভয়াবহ নিচু মন্থর উইকেটে আর কেউ না পারলেও ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের একটি মারকাটারি ইনিংসে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আশার আলো দেখছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য হায়দ্রাবাদের লাগতো ১৭ রান। দ্বিতীয় বলেই হোল্ডারের বিশাল ছক্কা। তবে শেষরক্ষা করতে পারলেন না হোল্ডার। অস্ট্রেলিয়ান পেসার নাথান এলিসের বুদ্ধিদীপ্ত ডেথ বোলিংয়ে ওভারে  এলো ১১। ১২৫ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও তাই ৭ রানে জিতে গেল পাঞ্জাব কিংস। এই আইপিএলে হায়দ্রাবাদের হারের ধারা রইল অব্যাহত।

আগের ম্যাচেই আবুধাবিতে বল নিচু হয়ে,ধীরে ব্যাটে আসা উইকেটে রাজস্থান-দিল্লীর লড়াই দেখা শেষ করতে না করতেই আরো বেশি মন্থর ও নিচু উইকেটে আরো একটি লো স্কোরিং ম্যাচ উপহার দিল আইপিএল।

প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য পাঞ্জাব কিংসের জয়ের আশা খুবই মিটমিট করে জ্বলছিল। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বড় রান তো দূরে থাক, ১০০ এর উপর স্ট্রাইক রেটে রানই করেছেন মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান- নিকোলাস পুরান ও দিপক হুডা; সেগুলিও আবার ছিল যথাক্রমে মাত্র ৮ ও ১৩ রানের ইনিংস। উইকেটের সাহায্য নিতে পাঞ্জাবের চারজন পেসারই মন দিয়েছিলেন গতির বৈচিত্র্যে ব্যাটসম্যানদের ধাঁধায় ফেলতে; তবে সবচেয়ে ভালোভাবে তা করতে পেরেছেন জেসন হোল্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই অধিনায়ক মাত্র এক ওভারেই তুলে নেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

নিচু মন্থর পিচে রাশিদ খান যেন হয়ে গিয়েছিলেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের চেয়েও রহস্যময়। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন এই লেগস্পিনার, তুলে নিয়েছেন ক্রিস গেইলের মূল্যবান উইকেটটি। ২০ ওভার শেষে পাঞ্জাব কিংসের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২৫।

তবে উইকেটের কল্যাণে এই সামান্য পুঁজিই হায়দ্রাবাদের জন্য দুঃসাধ্য করে ফেলে পাঞ্জাবের বোলাররা। ১০ রানের ভেতর পেসার মোহাম্মদ শামি তুলে নেন হায়দ্রাবাদের দুটি উইকেট। নিজের হতাশাজনক ফর্ম বজায় রেখে ২ রানে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার, উইলিয়ামসন বলের লাইন বুঝতে ভুল করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মাত্র ১ রানে। এরপর ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা একপ্রান্ত আগলে রাখেন, আরেক প্রান্তে আসা যাওয়া করতে থাকে হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানরা।

Image
রবি বিষ্ণোই শ্বাসই নিতে দেননি হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানদের

হায়দ্রাবাদের যদি একজন রশিদ খান থাকে, তো পাঞ্জাবেরও ছিল একজন রবি বিষ্ণোই। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বিষ্ণোই, রানআউট করেছেন গলার কাঁটা হয়ে আটকে থাকা ঋদ্ধিমান সাহাকেও। জেসন হোল্ডার পাওয়ার হিটিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটি না খেললে বোধহয় শেষ ওভার পর্যন্তও গড়াত না ম্যাচ। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১২০ রানে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস।

 

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img