২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

হারারেতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

- Advertisement -

জিম্বাবুয়ের সাথে একমাত্র টেস্টে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিতে ৪৬৮ রানে ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ। লিটনের সাথে সপ্তম আর তাসকিনের সাথে নবম উইকেট জুটিতে একশো পেরোনো দুটি জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাসকিন আহমেদ করেন ক্যারিয়ার সেরা ৭৫ রান।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে মুমিনুল ইসলাম টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। সাদমান-সাইফের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে প্রথম ওভারেই। দ্রুত ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে নিয়ে ইনিংস সামনে এগিয়ে নেন মুমিনুল হক। লাঞ্চের আগে সাদমান রিচার্দ এনগারাভার বলে স্লিপে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ৭০ রান।

 

দ্বিতীয় সেশনে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম চার ওভারে ২৯ রান তোলেন মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হক। এই দুজনের জুটি জমে ওঠার আগেই আরেকবার পেসারদের ভেতরে ঢোকা বলে আউট হন মুশফিকুর রহিম, শান্ত,সাইফের পর মুশফিককেও তুলে নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। মুশফিকের পর সাকিবও বেশিক্ষন টেকেননি উইকেটে, তিন রান করে বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার ভিক্টর নিয়াউচির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল স্কয়্যার ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভার হাতে ধরা পড়েন তিনি। একদিকে অবিচল থাকা মুমিনুলও মুশফিক সাকিবের পরেই ফেরেন ভিক্টর নিয়াউচির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের সাদামাটা শর্ট বল অভিষিক্ত দিওন মায়ার্সকে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৩ চারে করেন ৭০ রান। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুমিনুল যখন আউট হন দলের রান তখন ১৩২।

সেখান থেকেই লিটন দাশ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিটনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তৃতীয় সেশনেই আসে দিনের সর্বোচ্চ রান। দুজনের ১৩৮ রানের জুটিতে ২৭০ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশের ইনিংস। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটির ভাগিদার হওয়ার পর ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে ভিক্টর নিয়াউচির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাশ, ৯৫ রানে আউট হয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার নারভাস নাইন্টিজে আউট হন লিটন। লিটন ফেরার পরের বলেই তিরিপানোর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে গোল্ডেন ডাক মেহেদি হাসান মিরাজের। তাসকিনকে সাথে নিয়ে দিনের বাকি অংশ পার করেন মাহমুদউল্লাহ। ৮ উইকেটে ২৯৪ রানে শেষ হয় প্রথমদিনের খেলা।

আগেরদিনের দুই নট আউট ব্যাটসম্যান তাসকিন এবং মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় দিন সকালের সেশন নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন। এই সেশনে দুজনে নিজেদের ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন। সাদা পোশাকে ফিরেই মাহমুউদউল্লাহ নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি করেন। ৮ চারে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রথম শেসন শেষ করেন তাসকিন। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘন্টাও এই দুজন পার করেন, তবে তাসকিন ব্যক্তিগত ৭৫ রানে মিলটন শুম্বার বলে বোল্ড হলে রিয়াদ-তাসকিনের ১৯১ রানের জুটির অবসান ঘটে। এবাদত বেশিক্ষন থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহর সাথে, মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৫০ রান করে নট আউট থাকেন। হারারেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের ইনিংস অবশেষে থামে ৪৬৮ রানে।

জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি পান ৯৪ রানে ৪ উইকেট। ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ভিক্টর নিয়াউচি নেন দুইটি করে উইকেট।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img