ডিপিএলে বুধবার সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব; সুপারলিগে সাকিবহীন মোহামেডানের এটি টানা তৃতীয় হার। সাদাকালোদের ১৩৩ রানের স্কোর ১ ওভার বাঁকি থাকতেই টপকে যায় শেখ জামাল ।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাঁহাতি পারভেজ হোসেন ইমন এদিনও দারুন শুরু এনে দেয় মোহামেডানকে। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী আবদুল মজিদকে হারালেও ভালো স্ট্রাইক রেটে খেলতে থাকে ইমন। তরুণ এই ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে ৪৬ রান করার আগে ৩টি করে মারেন চার ও ছয়। ইমনের ৪৬ ও শামসুর রহমানের ১২২ স্ট্রাইক রেটে করা ৪৯ রানে সঠিক পথেই ছিল সাদা-কালো ক্যাম্প। এই দুজনের বিদায়ের পরই ধ্বস নামে মোহামেডানের ইনিংসে। ব্যাটিংয়ে ইমন, শামসুর এবং ইরফান শুক্কুর ছাড়া দুই অংকের রানের দেখা পাননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। ইবাদত হোসেনের দারুন বোলিংয়ে ইনিংসের শেষ ৭ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ৪১ রান তুলতে পারে মোহামেডান। ইবাদত ৪ ওভারে ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট, জিয়াউর রহমানের পকেটে ২৯ রান দিয়ে ঢোকে ৩ উইকেট, এছাড়াও লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি ৪ ওভারে দেন মাত্র ২০ রান।
১৩৪ রানের ছোটো টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করে শেখ জামাল। এই ডিপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা সৈকত আলী কোনো রান না করে আউট হলেও মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইমরুল কায়েস শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। ইমরুল ২১ বলে ২৬ ও আশরাফুল আউট হন ৩৮ রান করে। ম্যাচ জেতানোর বাঁকি কাজ টা করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান-তানবীর হায়দার জুটি। এ দুজনের ব্যাটে আসে ৩৩ বলে ৫০ রানের অপরাজিত জুটি। তানবীর করেন ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩২ এবং সোহানের ব্যাটে এদিন আসে ৩৬ রান।
শিরোপা থেকে শেখ জামাল এখনো অনেকটা দূরে থাকলেও তাদের অধিনায়ক নুরুল হাসান রয়েছেন দারুন টাচে। মোহামেডানের সাথে ৩৬ রানের ইনিংস তাকে নিয়ে গেছে ডিপিএলে সর্বোচ্চ স্কোরারদের তালিকার পাঁচে। সুপার লিগে জামালের শেষ দুটি ম্যাচ রয়েছে আবাহনী লিমিটেড এবং গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে।