শিরোপা প্রত্যাশী রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লড়াই। সাকিব আল হাসান-লিটন কুমার দাশদের ম্যাচ দেখতে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে উপচে পড়া ভিড়। যে উদ্দেশ্যে সমর্থকরা এসেছিলেন, তাদের হতাশ করেনি দুই দল। রানবন্যার ম্যাচে রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা।
রংপুরের দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই সুনিল নারাইনের উইকেট হারায় কুমিল্লা। তবে তিন নম্বরে উইকেটে এসে রংপুরের বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন তাওহীদ হৃদয়। প্রথমে একটু দেখেশুনে খেললেও সময় যত গড়িয়েছে হৃদয়ের সাথে যোগ দিয়েছেন লিটন কুমার দাশও।
হৃদয় ৩১ বলে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দুজনের জুটিতে ৮৯ বলে ওঠে ১৪৩ রান। যেখানে ৪৩ বলে হৃদয়ের অবদান ৬৪ রান। অধিনায়ক লিটন করেছেন ৫৭ বলে ৮৩ রান।
চার ওভারে ২১ রান দিয়ে উইকেট শুন্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। রংপুরের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকি।
প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাটিং করে জিমি নিশামের ৪৯ বলে অপরাজিত ৯৭ রানের উপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর।
টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন তানভীর ইসলাম। ওপেনিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন শামীম পাটোয়ারী। যেভাবে আউট হয়েছেন তরুণ এ ব্যাটার নিজেকে দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন।
আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও ফিরেছেন দ্রুত। সাকিব আল হাসান পারেননি তেমন কিছুই করতে। ৯ বলে করেছেন মাত্র ৫ রান। তবে রংপুরকে একাই টেনেছেন জিমি নিশাম। শুরুতে দেখেশুনে খেলেছেন, এরপর সময় যত গড়িয়েছে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৩১ বলে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন নিশাম। অর্ধশতক করার পর মিরপুরে ঝড় তোলেন তিনি। তার ঝড়ের কবলে পড়ে মুশফিক হাসান চার ওভারে খরচ করেছেন ৭২ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন নিশাম।
শেখ মাহেদী করেছেন দারুণ ব্যাটিং। নারাইনের বলে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেছেন ২২ রান। নিকোলাস পুরান মুশফিক হাসানকে বাউন্ডারি মারার পর দারুণ এক ছক্কা মেরে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
শেষের দিকে ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান তুলেছে রংপুর।
কুমিল্লার হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন আন্দ্রে রাসেল। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান, তানভীর ইসলাম, রোহানত দৌলা বর্ষণ ও সুনিল নারাইন।