জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৮ রান; সাম্প্রতিক সময়ের হিসেবে মিরপুর স্টেডিয়ামে এই রান তাড়া করাটা যে খুবেকটা সহজ হবে না সেটা অনুমান নিশ্চয়ই করেছিল পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যেই ধীরে শুরু দুই ওপেনারের, কিন্তু পিচে থিতু হতে পারেননি বেশীক্ষণ।
তৃতীয় ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান; পরের ওভারেই নিজের শেষ বলে তাসকিন আহমেদ বোল্ড করে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছেন আরেক ওপেনার বাবর আজমকে। তাসকিন উইকেটটি পেতে পারতেন দুই বল আগেই। টাইগার পেসারের বাউন্স বলটা বাবরের গ্লাভস ছুয়ে গিয়েছিল উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে। কিন্তু, কেউই আবেদন না করাতে পাননি কাঙ্ক্ষিত উইকেটটির দেখা।
তবে, উইকেট পেতে বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাসকিনকে। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে নিজের শেষ বলে শেখ মাহেদি প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন হায়দার আলিকেও। রিভিউ নিলেও আম্পায়ারের দেওয়া এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তটাই বহাল থেকেছে।
পাওয়ারপ্লের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত কিপিংয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন শোয়েব মালিকও। মুস্তাফিজের বলটা সোহানের হাতে গেলে সোহান দ্রুত থ্রো করে উইকেটকে লক্ষ্য করে। বলটা স্ট্যাম্পে যখন লাগছে, তখনও দাগের ভেতরে পৌঁছেনি মালিকের ব্যাট। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ তাই ৪ উইকেটে ২৪।