রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর বিনা উইকেটে ১০ রান করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের চেয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল, হাতে রয়েছে ১০ উইকেট।
বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। দ্বিতীয় দিনে টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। দীর্ঘদিন পরে টেস্টে ফেরা তাসকিন আহমেদের হাতে নতুন বলটা তুলে দেন তিনি। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস। প্রথম ওভারের শুরুর ৫টা বল আউট সুইং করিয়েছেন, শেষের বলে ইনসুইংয়ে বোকা বানিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিককে। তাতেই বাংলাদেশ পায় প্রথম ব্রেক থ্রু।
তিন নম্বরে উইকেটে আসার পর আরেক ওপেনার আইয়ুবকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন শান মাসুদ। প্রথমে একটু সময় নিয়েছেন। এরপর যত সময় গড়িয়েছে ততই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম সেশনে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৫৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাসুদ। পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করলেও অন্যপ্রান্তে সাবধানী ছিলেন আইয়ুব। হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানাদের বাজে বলের অপেক্ষা করেছেন, সেটি পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি।
মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে ফিফটি পূর্ণ করেন আইয়ুব। একটা সময় মনে হচ্ছিল আরও বড় সংগ্রহের দিকে যাচ্ছেন মাসুদ ও আইয়ুব। প্রথমে পাকিস্তান অধিনায়ককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৫৭ রান করেন মাসুদ। একটু পর মিরাজের বলেই স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইয়ুব। বাঁহাতি এ ব্যাটার খেলেছেন ১১০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস।
বাবর আজম ও সৌদ শাকিল মিলে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যক্তিগত ১ রানে স্লিপে শাকিলের ক্যাচ ছেড়েছিলেন মিরাজ। তারপরও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানের মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। তাসকিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৮ বলে করেছেন ১৬ রান।
আবারও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন বাবর। এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো করলেও সেটা বড় করতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৭৭ বলে খেলেছেন ৩১ রানের ইনিংস। একই ওভারে আগা সালমানের উইকেটও পেতে পারতেন সাকিব। তবে শর্ট লেগে ক্যাচ নিতে পারেননি জাকির হাসান। একটু পর বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন নাহিদ রানা। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬৩ বলে ২৯ রান করেছেন উইকেট কিপার এ ব্যাটার।
শেষদিকে পাকিস্তানকে একাই টেনেছেন সালমান। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে করেছেন ৫৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেছেন মিরাজ। তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট। এছাড়াও একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও নাহিদ রানা।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে দিনটা ভালোভাবেই পার করে দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ রানে অপরাজিত সাদমান, জাকির রানের খাতা খুলতে পারেননি।