২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

অচেনা উইকেটে নিজেদের চেনাতে ব্যর্থ দেশের স্পিনাররা

- Advertisement -

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোলিং ইউনিটের মূল শক্তি স্পিনাররা। এটা যেনো প্রচলিত এক সত্য কথা। কথাটার ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ার কারণও তো আছে। এমনি এমনি তো আর বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পিন শক্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়েনি। আর এ কারণটা বের করতেও খুব বেশি পরিসংখ্যানেরও দরকার পড়ে না। মাঠের পারফর্ম্যান্সই সে কথা বলে।

দেশের মাটিতে টাইগাররা স্পিনারা বরাবরই উজ্জ্বল সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ থাকার কথা না। তবে দেশের বাইরে গেলেই যেনো নিজেদের হারিয়ে খোঁজে তাইজুল,মিরাজরা। এমনকি উপমহাদেশের ভারত, পাকিস্তান,শ্রীলংকা যেখানেও দেশের উইকেটের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় সেখানেও বল ঘুরাতেই যেনো হিমশিম খায় দেশের স্পিনাররা।

দলে খেলা নিয়মিত স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘরের মাঠে নিজেকে যতোটা মেলে ধরতে পারে ঘর থেকে বের হলেই ঠিক ততটাই এলোমেলো হয়ে পড়ে। সেটা হোক পাশের দেশ ভারত কিংবা পাকিস্তান সব জায়গায়। উপমহাদেশে তাইজুলের শেষ ৫ টেস্টে দেখার মতো কিছুই ছিলোনা। বলার মতো শুধু শেষ লংকা সফরে নেয়া পাঁচ উইকেট। অ্যাওয়েকে তাইজুলের সেরা বোলিং এটাই।

টেস্ট ক্যারিয়ারে সাতান্ন ইনিংসে তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন সবমিলিয়ে ১৩৪ উইকেট। যার মধ্যে অ্যাওয়েতে নিয়েছেন মাত্র ২৯টি।

বর্তমান সময়ে সাদা পোষাকের বাংলাদেশ দলে নিয়মিত মুখ মেহেদি হাসান মিরাজ। নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে দলে নিজের জায়গাটা বেশ পাকাপুক্ত করে ফেলেছেন সেটা নিশ্চিতভাবে বলাই যায়। তবে মিরাজের বোলিং দেশে যতোটা উজ্জ্বল দেশের বাইরে ঠিক ততোটাই নিষ্প্রভ।

প্রতিবেশী দেশগুলোতেও মিরাজের পারফর্ম্যান্স তাইজুলের আরেক রূপ। উপমহাদেশে শেষ চার টেস্টে মিরাজের উইকেট ৫টি। আর এই উইকেট পেতেও ঘাম ঝড়াতে হয়েছে অনেক। প্রতি উইকেটে রান দিয়েছেন ষাটের বেশি।

মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪৪ ইনিংসের মধ্যে বিশ ইনিংস খেলেছেন অ্যাওয়েতে। পুরো ক্যারিয়ারে ৭ বার পাঁচ উইকেট পাওয়া মিরাজ ঘরের বাইরে পেয়েছেন মাত্র একবার।

স্পিনারদের স্বর্গ বলা এ দেশের উইকেটে টাইগার স্পিনারদের কাছে যতোটা সহজ মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামে বল ঘুরানো ঠিক ততোটাই যেনো কঠিন বাইরের উইকেটে নিজেকে মেলে ধরা। এখনতো প্রশ্ন উঠতেই পারে দুর্বল শক্তির জিম্বাবুয়ের সাথে কেমন করবে বাংলাদেশের স্পিনাররা।

প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো সময়ই বলে দিবে। আর টাইগারদের নতুন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কাছে চ্যালেঞ্জটা আরো বড়। এ সফরটা যে নিজেকে প্রমাণ করার উপযুক্ত সময় সেটা মেনেই হয়তো নিজের সেরাটা দিবেন টাইগারদের নয়া এই স্পিন ওস্তাদ।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img