২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

অলিম্পিকে সোনা জিতেছে ব্রাজিল

- Advertisement -

সবাই যখন ভাবছে ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে, তখনই ব্রাজিলের দেবদূত হয়ে আবির্ভুত হলেন ম্যালকম। তার ১০৮ মিনিটের গোলে টোকিও অলিম্পিকের পুরুষ ফুটবলে টানা দুই আসরে স্বর্ণপদক জিতেছে ব্রাজিল । নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলে শেষ হয়েছিল। যেখানে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাথিয়াস কুইয়ার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল, স্পেনকে সমতায় ফেরান মাইকেল অর্যাবাল।

গোল করে ছুঁটছেন ম্যালকম

মাত্র পঞ্চম দল হিসেবে অলিম্পিকে টানা দুটো সোনা জেতার হাতছানি ছিল ব্রাজিলের সামনে। সেই রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামে সেলেসাওরা। তবে ম্যাচের প্রথম আক্রমনটা করে স্পেনই। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় পাও তোরেসের থ্রু বল ধরে বক্সের মধ্যে অনেকটা ঢুকেই পড়েছিলেন মাইকেল অর্যাবাল, তবে পেনাল্টি বক্স থেকে বেরিয়ে এসে স্পেনকে গোলবঞ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক সান্তোস। তবে বিপদমুক্ত করলেও ঠিকই স্পেনকে ফ্রিকিক উপহার দেন তিনি। মিনিট তিনেক পর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ম্যাথিয়াস কুইয়ার আক্রমন ভেস্তে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া।

১২ মিনিটে ফ্রিকিক পায় ব্রাজিল, মাঠের ডান প্রান্ত থেকে দানি আলভেজের ফ্রিকিক ক্লিয়ার করতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি মার্টিন জুবিমেন্দির। মিনিট তিনেক পর গোল পেতে পারতো স্পেন। অর্যাবালের সানি অলমোর উদ্দেশ্যে বল বাড়ান , তবে সেই বল অলমোর কাছে যাওয়ার আগেই পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোস। তার পায়ে লেগে বল জালে জড়াতে পারতো, তবে গোল হওয়ার আগেই গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন দিয়েগো কার্লোস। এর মিনিট তিনেক পর স্পেনের ত্রাতা গোলরক্ষক উনাই সিমন। দগলাস লুইসের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন সিমন।

তবে প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছিলেন সেই সিমন, ম্যাথিয়াস কুইয়াকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু রিচার্লিসনের সেই পেনাল্টি বারের উপর দিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় সেলেসাওরা। ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’ এমন প্রবাদকে সত্যি করেছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহুর্তে কুইয়ার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সের ভেতরে বল বাড়ান ক্লাউদিনিও, সেই বল পান দানি আলভেজ। তার থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি কুইয়া। ফলাফয়াল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে দুদল।

পেনাল্টি মিস করেছিলেন রিচার্লিসন

বিরতিতে গিয়েই নতুন পরিকল্পনা সাঁজান স্পেন কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরতেই দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে স্পেন। মূলত মার্কো আসেনসিও এবং মাইকেল মোরেনো নামার পরই পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। একের পর এক আক্রমন করতে থাকে স্পেন, ফলও পেয়ে যায় হাতেনাতে। ম্যাচের ৬১ মিনিটে মাঠের ডান প্রান্ত থেকে কার্লোস সোলারের বাড়ানো বলে লাফিয়ে উঠে হেড করেন অর্যাবাল। ফলাফল- সমতা।  মূলত গোল করেই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে স্পেন। মিনিট ছয় পর সোলারের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলোকিপার সান্তোস।

অর্যাবালের গোলে সমতায় ফেরে স্পেন

ম্যাচের ৮৮ মিনিট, স্পেন স্বর্ণপদকটা তখন প্রায় পেয়েই গেছিল। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে ব্রাজিল গোলকিপার সান্তসকে পরাস্থ করেন ব্র্যায়ান গ্রিল, তবে সেই বল প্রতিহত হয় ক্রসবারে। শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে সমতায় থেকে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা, ম্যাচ গড়ায় অতিরক্ত ৩০ মিনিটে। ম্যাচের ৯১ মিনিটে ব্রাজিলের গোলদাতা ম্যাথিয়াস কুইয়ার বদলে মাঠে নামেন ম্যালকম। অতিরিক্ত মিনিটে সেই ম্যালকমই গোল করে ব্রাজিলকে স্বর্ণপদক এনে দেন। ১০৮ মিনিটে অ্যান্তনির পাস থেকে গোল করেন ম্যালকম।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img