বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জেতার পর ফ্রান্সকে ব্যাঙ্গ করে গান ও সেলিব্রেশন করায় তোপের মুখেই পড়তে হয়েছিল এনজো ফার্নান্দেজদের। পরে অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রান্সের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তারপরও হয় ক্ষোভ রয়ে গেছে ফ্রান্স ফুটবলারদের মনে। সেই ক্ষোভের মধ্যেই প্রতিপক্ষ হিসেবে অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে পেয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। শুক্রবার রাতে হুলিয়ান আলভারেজদের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
গতকাল (মঙ্গলবার) ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন থিয়াগো আলমাদা ও ক্লদিও এচেভেরি। টানা দুই জয়ের পরও ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি হাভিয়ের মাচেরানোর দল। আর্জেন্টিনার সমান ছয় পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি দেখায় জয় পাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে আশরাফ হাকিমির মরক্কো।
‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হওয়ায় ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচেও হারেনি স্বাগতিকরা। এমনকি তিন ম্যাচেই প্রতিপক্ষরা তাদের জালে কোনো গোল দিতে পারেনি। এমনিতেই আর্জেন্টিনার উপরে ক্ষেপে থাকা ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে আলভারেজ-আলমাদাদের একপ্রকার হুমকিই দিয়ে রেখেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল রাতে ৩-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছেন মাতেতা। জয়ের পর আর্জেন্টিনা ম্যাচের বিষয়ে তিনি বলেন, “সম্প্রতি যা ঘটেছে, ফ্রান্সের সবাই তাতে আক্রান্ত হয়েছি। তাই এবার আমরা দেখব কোয়ার্টার ফাইনালে কী হয়।’’ তবে আর্জেন্টিনাকে সমীহও করছেন ইংলিশ ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেসের এই স্ট্রাইকার, “আর্জেন্টিনা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং ওরা এমন একটা দল, যারা সব টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে। তবে আগে আমরা (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) জয় উদ্যাপন করব। এরপর ওদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভাবব”
২০০৪ ও ২০০৮ সালে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর প্রতিযোগিতায় সোনা জিততে পারেনি আলবিসেলেস্তরা।