২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনালে ব্রাজিল

- Advertisement -

অলিম্পিক ফুটবলে প্রত্যাশিত ফল, কোয়ার্টার ফাইনালে মিসরকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল। শক্তিমত্তা, পরিসংখ্যান সবকিছুতেই এগিয়ে থাকা ব্রাজিলিয়ানরা ম্যাচের শুরু থেকেই খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। আক্রমণের পর আক্রমণে ব্যস্ত ছিল মিসরীয় রক্ষণভাগ। তবুও প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা ৩৭ মিনিটের, মাথেউস কুইয়ার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।

সেমিফাইনালে চলে গেল ব্রাজিল

ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটেই পেয়ে যেতে পারতো গোলও। দানি আলভেসের দারুণ এক ক্রসে প্রায় গোলের দেখা পেয়েই যাচ্ছিলো ব্রাজিল। কিন্তু গোলকিপার এল শেনাওয়ে কোনোমতে বলটাকে রুখে দেয়। পরবর্তী ১০ মিনিট মাঝমাঠে দুর্দান্ত খেলতে থাকে ব্রাজিল। ছোট ছোট পাসে মিসরের খেলোয়ারদের বোকা বানাতে দেখা যায় দিয়াগো কার্লোস, রিচার্লিসন, নিনো, ক্লাউদিনহোদের।

তবে ম্যাচের ১২তম মিনিটে উল্টো ব্রাজিলই গোল হজম করে ফেলতো।  ভাগ্যগুনে বেঁচে গেছে সেলেকাওরা। বাঁ-পাশ থেকে পাওয়া ক্রসে নিজেদের ডি-বক্সের কাছে ভুল পাস দিয়ে বসেন কালোর্স। বল চলে যায় মিসরের রামাদান সোবির পায়ে। তিনি বল বাড়িয়ে দেন আকরাম তৌফিকের কাছে, তৌফিক মাথাও ছোঁয়ান। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। ব্রাজিলের গোলবারের ডানপাশ কেটে বেরিয়ে যায় বল। ১৫তম মিনিটে লং পাসে ফের আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল। কুইয়ার হেডে অ্যান্তোনির পায়ে চলে যাওয়া বল তিনি বাড়িয়ে দেন রিচার্লিসনকে। তবে রিচার্লিসন ব্যর্থ হন। ১৯ মিনিটে গুইমারেস থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁইয়ে সোজা কুইয়ার কাছে বল উড়িয়ে দেন অ্যান্তোনি। বলে মাথাও ছোয়ান কুইয়া। কিন্তু  দারুণ এক পাঞ্চে বল ক্লিয়ার করেন গোলকিপার এল শেনাওয়ে।

কুইয়ার গোলে জিতেছে ব্রাজিল

২৩তম মিনিটে ব্রাজিলের একটি আক্রমণেকে ঠেকিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে মিসর। কিন্তু এল এরাকির নেওয়া দুর্বল শট গ্লাভসবন্দী করতে বেগ পেতে হয়নি ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার সান্তোসের। ৩০তম মিনিটে দানি আলভেসের একটি বিপজ্জনক শট ক্লিয়ার করেন মিসরের এলউইঞ্চ। ৩২ মিনিটে ফতুয়াহকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের অ্যান্তোনি। ৩৭ মিনিটে মিসরের গোলমুখ খুলতে সামর্থ্য হয় ব্রাজিল। ক্লাউদিনহো আর রিচার্লিসনকে থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে মিসরের ডিফেন্ডাররা। আর মাঝখানে ফাঁকায় বল পেয়ে জালের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন মাথেউস কুইয়া। ম্যাচে গোল ওই একটাই। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া মিসর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।

চোটের কারণে ম্যাচের ৫১ মিনিটে দুর্দান্ত খেলতে থাকা কুইয়াকে উঠিয়ে নামানো হয় পাওলিনিওকে। তবুও কমেনি আক্রমণ, সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে ব্রাজিলের আক্রমণের ধার। ৬৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল মিসর, তবে কাজের কাজটাই হয়নি। মিনিট দশেকের ব্যবধানে আবারও সুযোগ আসে মিসরের সামনে। তবে আরাধ্য ওই গোলটাই হয়নি। ম্যাচে বাকি সময়ে দু’দলই বেশকিছু সুযোগ তৈরী করলেও আর গোলের দেখা পায়নি কেউই। তবে কাঙ্খিত জয়টা ঠিকই পেয়েছে ব্রাজিল।

আক্রমণ

দিনের বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে স্পেন এবং জাপান। তর্কসাপেক্ষে আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে খেলতে আসা স্পেন ৫-২ গোলে হারিয়েছে আইভোরিকোস্টকে। প্রথম ৯০ মিনিটে ম্যাচে ছিল ১-১ গোলে সমতা। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই গ্রাডেলের গোলে এগিয়ে যায় আইভোরিকোস্ট। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগমুহুর্তে ৯৩ মিনিটে রাফা মিরের গোলে সমতায় ফিরে স্পেন। নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।  ম্যাচের ৯৮, ১১৭ এবং ১২১তম মিনিটে স্পেন জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে তিন তিনবার। স্প্যানিশদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন রাফা মির।

জাপান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে জাপানিজদের জয় ৪-২ গোলে। সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে এশিয়ান জায়ান্টরা। সেমিতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো; শনিবার তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়েছে ৬-৩ গোলে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img