মাঠের বাইরে দুই লাইনে দাড়ানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। হাসিমুখে সবার মধ্য দিয়ে হেঁটে আসছেন ডোয়াইন ব্রাভো। চোখে সানগ্লাস; বোঝার উপায় নেই হাসির আড়ালে কান্না লুকিয়ে কি না! ক্যারিবিয়ান তারকা দুই হাত উঁচিয়ে জানালেন প্রতিক্রিয়া, তার দেখানো পথে মাঠে প্রবেশ করলেন বাকি দশজন।
প্রথম ইনিংসের শেষ দুই বলে রাসেলের দুই ছক্কা আর অধিনায়ক কিরন পোলার্ডের ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের শেষ ম্যাচে স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ৭ উইকেটে ১৫৭। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে মাঠে তখন ডেভিড ওয়ার্নার-অ্যারন ফিঞ্চ। শুরুটা মন্দ করেননি দুই ওপেনার; প্রথম উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে তুলেছেন ৩৩ রান। ৯ রানে ফিঞ্চ ফিরলেও, অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার; মিচেল মার্শকে নিয়ে গড়েছেন ১২৪ রানের জুটি। জয়ের জন্য ১ রান বাকি থাকতে মার্শ আউট হয়েছেন ক্রিস গেইলের বলে। তবে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৮ উইকেটের স্বস্তির জয়। ওয়ার্নার অপরাজিত ছিলেন ৮৯* রানে, মার্শের সংগ্রহ ৫৩।
জয় পরাজয় সবকিছু ছাপিয়ে গেছে ব্রাভোর বিদায়। সেইসাথে প্রশ্ন জেগেছে ক্রিস গেইলকে নিয়েও। ১৫ রানে আউট হওয়ার পর যেভাবে ত্যাগ করেছেন মাঠ, তা তো শেষেরই ইঙ্গিত দেয়। ধারাভাষ্যকক্ষে বসে থাকা স্বদেশী ইয়ান বিশপেরও মনে হয়েছে তেমনটাই, “সবকিছু দেখে একটাই কথা মনে হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে যেনো ক্রিস গেইল মাঠে শেষবার!”
‘ইউনিভার্স বস নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন কি না সেটা তো সময়েই বলে দিবে। কিন্তু, ডোয়াইন ব্রাভোর ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হয়ে গেল এই ম্যাচ দিয়েই। চ্যাম্পিয়ন ব্রাভোকে নিশ্চয়ই জয় দিয়েই বিদায় জানাতে চেয়েছিলো পুরো দল, কিন্তু হলো না সেটা! তবুও চিরচেনা হাসিতেই মাঠ ছেড়েছে ক্যারিবিয়ানরা। নিজের শেষ ম্যাচে ব্রাভো ব্যাট হাতে ১০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।