মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ২৫৪ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন টম ব্লান্ডেল। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৫৫ রান।
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট থেকে দারুণ সুইং আদায় করেছে টাইগার বোলাররা। প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিং করা উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কিউই ওপেনার। অন্যপ্রান্তে দারুণ বোলিং করেছেন হাসান মাহমুদও। সুইং দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের ভুগিয়েছেন তিনি।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে নিজের দ্বিতীয় শিকার পেয়ে যান মুস্তাফিজ। স্লিপে ফিন অ্যালেনের ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে করেছেন ১২ রান।
ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া খালেদ আহমেদ নিজের প্রথম ওভারেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। তার প্রথম বলেই পুল করে বাউন্ডারি মেরেছিলেন চ্যাড বাওয়েস। আরেকবার পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। খালেদও পান প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ।
এরপর হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল মিলে গড়েন প্রতিরোধ। দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল কিউইরা। তবে ৬১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯ রান করা নিকোলসকে ফিরিয়ে ৯৫ রানের জুটি ভাঙ্গেন খালেদ আহমেদ। উইকেটে এসে ইনিংস বড় করতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। শেখ মাহেদীর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করেন ১৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১০ রান। কোল ম্যাকনকির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২০ রান।
শেষের দিকে ইশ সোধিকে মানকাডিং করেছিলেন হাসান। তবে সোধি ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার আগেই তাকে ডেকে এনেছেন লিটন। শেষ ওভারে খালেদের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩ ছক্কায় করেছেন ৩৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন শেখ মাহেদী ও খালেদ আহমেদ। দুটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।