৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার

‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস’, মরক্কো ম্যাচের পর মাচেরানো

- Advertisement -

অলিম্পিক ফুটবলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেজদের হার ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মাঠের বাইরের ঘটনা। নির্ধারিত সময় শেষে ২-১ গোলে আর্জেন্টিনা যখন পিছিয়ে তখন অতিরিক্ত সময়ের ১৬ মিনিটে সমতা ফেরায় হাভিয়ের মাচেরানোর দল। এরপরেই বাধে বিপত্তি, আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে বোতল, প্লাস্টিকের কাপ ও অগ্নিশিখা ছুড়ে মারেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকা মরক্কোর সমর্থকরা। কেউ কেউ তো মাঠেই ঢুকে পড়েন।

এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রায় দুই ঘন্টা বন্ধ থাকে ম্যাচ। এরপর ম্যাচশুরু হলে ক্রিস্টিয়ান মেদিনার করা সমতাসূচক গোলটি ভিএআরএ চেক করে বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর খেলা হয়েছে আরও ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড। তবে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

হারের পর মাঠে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন আর্জেন্টিনার অলিম্পিক ফুটবল দলের কোচ মাচেরানো। তিনি বলেন, “কী ঘটেছে, ব্যাখ্যা করতে পারব না। আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে বসে ছিলাম, কিন্তু এরপর কী হবে, সেটি তাঁরা বলতে পারেননি। মরক্কো অধিনায়ক (পুনরায়) খেলতে চায়নি। আমরাও চাইনি আর দর্শকেরাও আমাদের তাক করে অনেক কিছু ছুড়ে মেরেছে। আমার জীবনে দেখা এটাই সবচেয়ে বড় সার্কাস। জানি না একটি খেলার মুহূর্ত রিভিউ করতে তারা কেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিল”

আয়োজকরা ঠিকঠাক তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলে মনে করেন মাচেরানো। তার মতে এমন ঘটনা পাড়ার টুর্নামেন্টেও ঘটে না। সেই সাথে মরক্কো-আর্জেন্টিনা ম্যাচে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোকে অলিম্পিকের চেতনার বাইরে বলে মনে করেন ২০০৪ ও ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিকে সোনা জেতা সাবেক এ ফুটবলার।

মাচেরানো বলেন, “এমন ঘটনা পাড়ার টুর্নামেন্টেও ঘটে না। এটা লজ্জার। অলিম্পিকের চেতনার বাইরে এই সংস্থাকে মানসম্মত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে তারা সেটি হতে পারেনি”

মরক্কো ম্যাচে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য ফিফার কাছে অভিযোগ দিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্সে’ পোস্ট দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন এফএ সভাপতি ক্লাদিও তাপিয়া।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img