আগের টেস্টে ইনিংস হার, ওয়েলিংটন টেস্টে যেন এই লজ্জা থেকে বাঁচা যায়, উইন্ডিজদের প্রার্থনা হয়তো এমনই ছিলো। কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা ক্যারিবিয়দের দিকে আর তাকালেন কোথায়! তাদের কাছে আফসোসের সংখ্যাটা ১১ ! এই রানটা করতে পারলেই নিউজিল্যান্ডকে এই টেস্টে দ্বিতীয়বার ব্যাটে নামানো যেত। তা আর হতে দেয়নি ওয়্যাগনার-সাউদিরা। টানা দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার উইন্ডিজদের। সেই সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো নিউজিল্যান্ড।
আলোক স্বল্পতায় মূলত ওয়েলিংটন টেস্ট গড়ায় চতুর্থ দিনে। অবশ্য সমাপ্তি টানতে বেশি সময় নেননি স্বাগতিক বোলাররা। ১৩ ওভার তিন বল খরচ করতে হয়েছে। ৮৫ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলো উইন্ডিজ। ইনিংস পরাজয় এড়াতে ক্যারিবিয়দের ভরসার জায়গা ছিলেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তিনি আর পারলেন কোথায়! মাত্র এক যোগ করেই ৬১ রানে বোল্ড হন। উইকেট নেন সাউদি।
টেস্টে ক্যারিবিয়দের পাওয়া বলতে অভিষিক্ত জশুয়া দা সিলভার হাফ সেঞ্চুরি। তারপরও লাভ হয়নি। উইকেট কিপার এই ব্যাটসম্যানকে ৫৭ রানে এলবি’র ফাঁদে ফেলেন ওয়্যাগনার। বাকিদের ছেঁটে ফেলতে সময় নেয়নি কিউই পেসাররা। ৩১৭ রানে শেষ উইন্ডিজদের দ্বিতীয় ইনিংস। আর টেস্টে হার ইনিংস ও ১১ রানে। ম্যাচ সেরা নিকোলস আর সিরিজ সেরা জেমিসন।
এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলো নিউজিল্যান্ড। টানা দুই ম্যাচ ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজে পাক্কা ১২০ পয়েন্ট কিউইদের।
স্কোর: নিউজিল্যান্ড ৪৬০ ( নিকোলস ১৭৪, ওয়্যাগনার ৬৬*)
উইন্ডিজ ১৩১ (ব্ল্যাকউড ৬৯) জেমিসন ৫/৩৪, সাউদি ৫/৩২ এবং
৩১৭ (ফলোঅন) ক্যাম্পবেল ৬৮ হোল্ডার ৬১; ওয়্যাগনার ৩/৫৪, বোল্ট ৩/৯৬