জয়ের জন্য শেষদিনে প্রয়োজন মাত্র ৬২টি রান, হাতে ৮ উইকেট। ভাবা যায় এই অবস্থা থেকেও এই ম্যাচটি হেরে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের? তবে ভাগ্যিস, তাদের একজন ইয়াসির আলী চৌধুরী ছিলেন।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের শেষদিনে রাজশাহীর স্পিনারদের ঘূর্ণিধাঁধায় সহজ জয়ের পথটিও কন্টকাকীর্ণ হয়ে গিয়েছিলো চট্টগ্রামের জন্য। শেষ ইনিংসে মাত্র ৭৭ রানের লক্ষ্যে আগের দিন ২ উইকেট হারিয়ে ১৫ রানে দিন শেষ করা চট্টগ্রাম বুধবার দিনের শুরুতেই হারিয়ে ফেলে তিনটি উইকেট। তিনটিই নেন রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম; চট্টগ্রামের অধিনায়ক ও ব্যাটিং অর্ডারের বড় ভরসা মুমিনুল হক প্যাভিলিয়নে ফেরেন চার বল খেলে কোন রান না করেই। ১৫/২ থেকে নিমেষে ৩৫/৫ হয়ে যায় চট্টগ্রামের স্কোর।
মুমিনুলের আউটের পরই ‘অঘটনের’ শঙ্কায় যখন কাঁপছিলো চট্টগ্রাম; ঠিক তখন ভাঙ্গার হাটের মধ্যেই শুরু হয় ইয়াসির আলীর পাল্টা আক্রমণ। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৩৯ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৩৮* রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই সাজঘরে ফিরেছেন। তিনি নামার পর আরো দুই উইকেট পড়েছে, কিন্তু শেষদিনের টার্নিং উইকেটে সানজামুল-তাইজুল জুটির স্পিন আক্রমণের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইয়াসির। চট্টগ্রামও ম্যাচটা জিতেছে ৪ উইকেটে।
আগের ইনিংসে ১২৯ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে এমন ম্যাচ জেতানো নক; ম্যাচসেরার পুরস্কারের দাবিদারও ছিলেন জাতীয় দলের টেস্ট ‘স্কোয়াডের’ প্রায় নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা চট্টগ্রামের এই তরুণ ব্যাটসম্যান। তবে তা গেছে ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া সতীর্থ অফস্পিনার নাঈম হাসানের ঝুলিতে। অবশ্য দলকে যেভাবে জিতিয়েছেন, ম্যাচসেরা না হওয়ায় খুব কি মন খারাপ করবেন ইয়াসির?
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রাজশাহী বিভাগ প্রথম ইনিংস- ১৬৬/১০ (তৌহিদ হৃদয়-৬৮; নাইম হাসান- ৪/৪২);
চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম ইনিংস- ৩৪৯/১০ ( ইয়াসির আলী-১২৯; সানজামুল ইসলাম- ৫/৯৯);
রাজশাহী বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংস- ২৫৯/১০ (তৌহিদ হৃদয়-৬৮ জহরুল হক-৫৩, নাঈম হাসান- ৪/৬১; মেহেদি হাসান রানা- ৩/৫৩)
চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংস- ৭৮/৬ (ইয়াসির আলী-৩৮*; সানজামুল ইসলাম ৪/৪২)