ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ও শান্ত-সাদমান-মিঠুনদের ব্যাট হাতে কার্যকরী অবদানের সুবাদে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের মধ্যকার দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে তৃতীয় দিনশেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৪ উইকেটে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে এইচপি দলের ওপর তারা নিয়ে নিয়েছে ২৫২ রানের বিশাল লিড।
দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেটে ২৩৭ রানের সুবাদে এ দলের বিপক্ষে ৬ রানের লিড নিয়েছিল এইচপি দল। সেই লিড আর ১ রানও না বাড়িয়ে আজ সকালের সেশনের শুরুতেই বিদায় নেন এইচপি দলের শেষ দুই ব্যাটসম্যান হাসান মুরাদ ও তানভির ইসলাম। ২৩৭ রানেই শেষ হয় এইচপি দলের প্রথম ইনিংস। ‘এ’ দলের বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান নিয়েছেন ৬০ রানে ৫ উইকেট।
২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন এ দলের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে অফস্টাম্প উড়ে যায় সাইফ হাসানের; ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান রানের চাকা এগিয়ে নিতে থাকেন; দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৭৫ রান। তবে দুজনই আউট হয়েছেন ফিফটির একদম কাছাকাছি গিয়ে। দলীয় ১০৬ রানে এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়ে ৪৭ রানে ফিরে যান শান্ত; যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সহজে মানতে পারেননি তিনি। ৪৯ রানে আচমকা স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে সরাসরি বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন সাদমানও। দুজনের উইকেটই নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। ৩০ রান করে রেজাউর রহমানের বলে আউট হন মুমিনুল হক।
এরপর ইয়াসির আলী রাব্বি ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটেই দিনটা নির্বিঘ্নে পার করে দেয় ‘এ’ দল। দুজনে গড়েন ১০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। প্রায় ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৭৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে ৬৫* রানের ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলী। চট্টগ্রামের এই তরুণের ঘরের মাঠে সিরিজটা খুব ভালো যাচ্ছিল না; প্রথম ম্যাচে ২১ ও এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ০ করেছিলেন তিনি। অবশেষে ঘরের মাঠে বড় রানের দেখা পেলেন জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে থাকা এই ব্যাটসম্যান; চতুর্থ দিনে যা আরো বড় করার সুযোগ রয়েছে।
একপ্রান্তে স্ট্রোকের বন্যা ছোটাতে থাকা ইয়াসিরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১১৮ বলে ৪৬* রান করে অপরাজিত আছেন তিনি।