ক্রিকেটে ম্যাচ জয়ে যেমন ক্যাপ্টেনের ইম্প্যাক্ট থাকে। তেমনি ক্যাপ্টেনের ভুল ডিসিশন অথবা নেগেটিভ অ্যাপ্রোচেও ম্যাচ হারতে পারে দল। বাংলাদেশ প্রমিলা দল এবং সাউথ আফ্রিকা প্রমিলা দলের শনিবার সকালের ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির নেগেটিভ ব্যাটিং এপ্রোচ সেটারই উদাহরণ হয়ে থাকলো।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডুনেডিনে ২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আশা জাগিয়েও বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৩২ রানে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দলীয় ত্রিশ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। একশো রানের ভিতর প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৩ ব্যাটসম্যান।
১১৯ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর ক্যাপ এবং ট্রায়ন গড়েন ৬৮ বলে ৭১ রানের জুটি। শেষ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ২০৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগ্রিসদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ফারিহা তৃঞ্চা।
জবাব দিতে গিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান যোগ করলেও দুই ওপেনার শামীমা আক্তার এবং শারমিন সুলতানা খেলেন ২০ ওভার। বিনা উইকেটে ৬৯ রান থেকে পরের ১৬ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন টপ ফোরের সবাই। আবামঙ্গা খাকার বলে পরাস্ত সবাই। এরপর রোমানা আহমেদ, অধিনায়ক নিগার এবং রিতু মনিরা চেষ্টা করেও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেননি৷ শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে থামে বাংলাদেশ। চার উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ খাকা।
এই ম্যাচ হারের জন্য দায়ী কে? ওপেনিংয়ের স্লো স্টার্ট? নাকি অধিনায়ক নিগারের ৫৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস? নিগার যখন ক্রিজে আসেন তখনও বাংলাদেশের প্রয়োজন ১২৩ রান, হাতে প্রায় দেড়শো বল। শেষ দিকে এমন সিচুয়েশনে প্রায় দশ ওভার ব্যাট করে মাত্র ২৯ রান, এমন ম্যাচ হারের পর ক্যাপ্টেনের এই নেগেটিভ ব্যাটিং এপ্রোচের দায় থেকেই যায়। আগামী ৭ মার্চ ভোর চারটায় ডুনেডিনে স্বাভাবিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিগার সুলতানার দল।