প্লে অফে খেলতে হলে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জিততে হবে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে ঘরের মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করে তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরিতে ১৯২ রান সংগ্রহ করে বন্দর নগরীর দলটি। জবাবে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। ৬৫ রানে জিতে প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শুভাগত হোম। তবে দলে যোগ দেওয়া নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ ওয়াসিম তেমন কিছুই করতে পারেননি। ৭ বলে করেছেন মাত্র ১ রান। ডানহাতি এ ব্যাটারকে ফেরান নাসুম আহমেদ।
তবে অপরপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তামিম। খুলনার বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৩২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তরুণ এ ব্যাটার। এরপর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তামিম। ৫৮ বলে পেয়ে যান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা।
তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সৈকত আলী ও টম ব্রুস। প্রথমে সৈকতের সাথে ৩৭ বলে ৫৬ রানের পর ব্রুসের সাথে ৬১ বলে গড়েছেন ১১০ রানের জুটি। চলমান বিপিএলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার পর আউট হয়েছেন তিনি। ওয়ে ইন পারনেলের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬৫ বলে ৮টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় করেছেন ১১৬ রান।
২৩ বলে দুটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্রুস।
খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়েইন পারনেল, জেসন হোল্ডার, মুকিদুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
রান তাড়ায় শুরুটা ভাল করতে পারেনি খুলনা। ওপেনিং করতে নামা পারভেজ হোসেন ইমন ফিরেছেন দ্রুত। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় শুরুটা করেছিলেন ভাল। তবে বড় রান তাড়ায় টপ অর্ডার ব্যাটারদের যেমন বড় ইনিংস খেলা প্রয়োজন তেমন খেলতে পারেননি তিনি।
ফাইন লেগে বিজয়ের দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৫ রান। তিনে নেমে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন শাই হোপ। তবে ২১ বলে ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শুভাগত হোম। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন বিলাল খান।