২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

ঘরের মাঠে জিতেছে চেলসি; লাইপজিগকে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন

- Advertisement -

শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলায় নিজেদের মাঠে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক চেলসি। চেলসির হয়ে লিগে ক্যারিয়ারের প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন রোমেলু লুকাকু।  বুন্দেসলিগায় লাইপজিগের মাঠে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে রবার্ট লেভানডফস্কির বায়ার্ন।

ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে দুর্দান্ত খেলেছে চেলসি; ম্যাচের ১৫ মিনিটেই রোমেলু লুকাকুর পা থেকে এসেছে গোল। চেলসিতে এর আগেও তিনবছর ছিলেন লুকাকু; কিন্তু ঘরের মাঠে পাননি কোনো গোলের দেখা। অবশেষে ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ডে প্রথমবারের মতো গোলের দেখা পেলেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড; মধ্যমাঠ থেকে মাতেও কোভাচিচের লম্বা পাসে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন লুকাকু এবং একজন ডিফেন্ডারকে পাশ কাঁটিয়ে ডান পায়ের জোড়ালো শটে দলকে এনে দেন ১-০ গোলের লিড। অবশ্য, অ্যান্তনিও রদ্রিগেরের হেড করা বলটা ক্রসবারে না লাগলে ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোল পেতে পারত থমাস তুখেলের দল।

প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলা চেলসি দ্বিতীয়ার্ধে হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটেই মাতেও কোভাচিচের গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় চেলসি। পুরো ম্যাচেই আরো বেশ কিছু আক্রমণের সৃষ্টি করলেও, গোলের দেখাটা পাচ্ছিলেন না চেলসি ফরোয়ার্ডরা। সেই ক্ষোভেই কি না, ম্যাচ শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে ৩-০ গোলের জয় এনে দিলেন রোমেলু লুকাকু। অ্যাস্টন ভিলার খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেললেও ব্যবধান কমাতে পারেনি কেউই। ৪ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে চেলসি।

আরো একটি ম্যাচে লেভানডফস্কির গোল

অপরদিকে, লাইপজিগের মাঠে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় খেলতে নামে রবার্ট লেভানডফস্কি-থমাস মুলারদের বায়ার্ন। ম্যাচের তখন কেবল ৯ মিনিট, খেলা থামিয়ে ভিএআর পরীক্ষা করতে দৌড়লের রেফারি; এসে যা করলেন, তাতে ততোক্ষণে নিজেদের হার দেখতে শুরু করে দিয়েছিলো লাইপজিগ। বায়ার্নকে পেনাল্টি কিক দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন রেফারি। অনুমিতভাবেই পেনাল্টিতে বায়ার্ন তারকা লেভানডফস্কি; পোলিশ এই স্ট্রাইকারের ডান পাশে নেয়া শটটার জবাবে বাম পাশে ঝাঁপালেন লাইপজিগ গোলরক্ষক। তারপর যা হওয়ার সেটাই হয়েছে; ১-০ গোলে এগিয়ে লেভানডফস্কির বায়ার্ন। ম্যাচে আরো বেশ কিছু আক্রমণ প্রতি আক্রমণ হলেও, গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। প্রথমার্ধ শেষেও গোল তাই একটিই।

দুর্দান্তু মুসিয়ালা

দ্বিতিয়ার্ধের শুরুতেই বিপক্ষ দলের জালে বল জোড়ানোর পাল্লা শুরু হয় বায়ার্নের। ম্যাচের ৪৭ মিনিটেই গোল করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন জামাল মুসিয়ালা। ৫২তম মিনিটে ডেনিয়েল ওলমোর গোলে ব্যবধান কমানোর স্বপ্নটা ফিকে হয়ে যায় লাইপজিগের, যখন গোলটিকে অফসাইড ঘোষণা করে রেফারি; উল্টো, ৫৪তম মিনিটে লেরয় সানের গোলে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ৫৮তম মিনিটে আর ভুল করেনি লাইপজিগ; বক্সের বাইরে থেকে নেয়া কনরাড লাইমেরের ডান পায়ের জোড়ালো শটটা ঠিকি গিয়ে পৌছে বায়ার্ন জালে। লাইমেরের গোলটা ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে; কারণ, ম্যাচ শেষের আগমুহুর্তে এরিক ম্যাক্সিম চউপো-মোতিং বায়ার্নের হয়ে গোল করে উল্টো ৪-১ গোলে পরিণত করেছে স্কোরলাইন। এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে বায়ার্ন মিউনিখ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img