ফেরার গল্পতো চাইলেই লেখা যায় না, ৪ বছর আগে পিএসজির সাথে দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্য একটা প্রত্যাবর্তনের গল্পই লিখেছিল বার্সেলোনা। চাইলেই তো রুপকথা হওয়া যায় না। ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছিল ৩-১ ব্যবধানে, অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের জন্য কাজটা যে সহজ হবে না, সেটা প্রথম লেগের ফলাফল দেখেই স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার রাত একটা, মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ আর লিভারপুল। তবে কঠিন কাজটা যদি করতে পারে লিভারপুল, তবে ইতিহাসে তারাও জায়গা পাবে।
এল ক্লাসিকোতে বার্সাকে পাত্তাই দেয়নি জিনেদিন জিদানের দল। রেফরির পক্ষপাতিত্ব নিয়ে হয়েছে আলোচনা, তবে রিয়াল মাদ্রিদের সেসবে কেয়ার নাই; সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। দলে আছে ইনজুরি সমস্যা, রাইট ব্যাক নিয়েও আছে চিন্তা, কে খেলবেন, কাকে কাকে খেলাবেন, তা নিয়েও ভাবতে পারেন জিনেদিন জিদান, তবে আর যাইহোক নিশ্চিত করেই হয়তো লিভারপুলের প্রত্যবর্তনের গল্পে খলনায়ক হতে চাইবে না অল হোয়াইটরা। মঞ্চ প্রস্তুত, শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা।
মিডফিল্ডে দুর্দান্ত কট্রোল, অভিজ্ঞ ফ্রন্ট লাইন-আপ সবকিছুই হয়তো এগিয়ে রাখবে রিয়াল মাদ্রিদকে। করিম বেনজেমা আছেন দারুণ ফর্মে, গুরত্বপূর্ন ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের ধারাবাহিকতা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, বাকিটা বলবে সময়।
একই সময়, ভিন্ন প্রেক্ষাপট, মুখোমুখি ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি আর জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। রিয়াল মাদ্রিদ – লিভারপুল ম্যাচের আড়ালে ঢাকা পড়তে পারে তবে এই দুই দলের লড়াই কম আকর্ষনীয় না। ইপিএলে টেবিল টপার, কিন্তু লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে হার হয়তো ক্ষত হয়ে আছে গার্দিওলার দলের, তার চাইতেও চিন্তাটা বেশি থাকবে ইনজুরি নিয়ে।
ডর্টমুন্ডকে পিছিয়ে রাখবে পয়লা লেগ, সিটির কাছে দুই একে হার। সবাইতো প্রত্যাবর্তনের গল্পই লিখতে চাইবে, তবে ডর্টমুন্ডের জন্য সেই গল্পের চরিত্র হওয়া মোটেই সহজ হবে না, চাইলেই কি আর পারা যায়। তারপরেও খেলাটা ফুটবল, বদলে যেতে পারে প্রেক্ষাপট বদলে যেতে পারে গল্প। ডর্টমুন্ড কি পারবে কিংবা লিভারপুল ? নাকি শেষ হাসি ধরে রাখবে মাদ্রিদ আর ম্যানচেস্টার?