১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার

টাইগারদের সাফল্যে স্থানীয় কোচদের ‘ক্রেডিট’ দিতে বললেন তামিম

- Advertisement -

পুরো বাংলাদেশের ফোকাস যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, তখনও পাকিস্তান সিরিজের জন্য লাল বলের ক্রিকেটে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম মেহেদী হাসান মিরাজরা। টাইগার্স ক্যাম্পে করেছেন দিনের পর দিন অনুশীলন। পাকিস্তানের মাটিতে এতো সাফল্যের পেছনের অন্যতম কারণের মধ্যে একটা হলো টাইগার্স ক্যাম্প আর এ দলের সাথে থাকা এই খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়ের এই সাফল্য যেমন দলের সব খেলোয়াড়দের, সাফল্য টিম ম্যানেজমেনটেরও। সবার ভূয়সী প্রশংসায় যখন ক্রিকেটার আর কোচিং স্টাফরা ভাসছেন, ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তামিম ইকবাল স্মরণ করিয়ে দিলেন সাফল্যের পেছনের কারিগরদের কথাও।

“বড় কোনো জয়ের পর অনেক সময় মানুষ ছোট বিষয়গুলো ভুলে যায়। যখন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটাররা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত ছিল, তখন টেস্ট দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার টাইগার্সের অধীনে অনুশীলন করেছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে মুশফিক, মুমিনুল, মেহেদীরা ছিল। এক মাস-দেড় মাসের এই ক্যাম্প হয়েছে স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে, তাদেরও অনেক কৃতিত্ব আছে। এটার অনেক বড় ভূমিকা ছিল।” 

তামিম ইকবাল অবশ্য কেবল মাত্র স্থানীয় কোচদের কথাই নয়, টাইগার পেসারদের ধারাবাহিক সাফল্য আর উন্নতির জন্য ক্রেডিট দিয়েছেন সাবেক পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে। ডোনাল্ডের আগে ওটিস গিবসনের অবদানকেও ভোলেননি এই ক্রিকেটার।

“রাওয়ালপিন্ডি এমন একটা উইকেট ছিল যেখানে আগে অনেক রান উঠেছে, পাকিস্তান পেসাররা যতটুকু সুবিধা আদায় করতে পেরেছে, তার চেয়ে বাংলাদেশের পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এটা নিয়ে পেসারদের গর্ব করা উচিত। যারা আগে কোচ ছিলেন তাদের কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। এই পেস বোলিং ইউনিটকে এত দূরে নিয়ে আসতে অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসন কঠোর পরিশ্রম করেছে।” 

বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের উন্নতির পেছনে স্থানীয় কোচরা দিনের পর দিন নিরলস পরিশ্রম করে যান। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য এলে তাদের কথা হয়তো অনেকেই মনে রাখেন না কিংবা তাদের নামও সেভাবে সামনে আসে না। তামিমের চাওয়া এমনটা না হোক।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img