৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার

টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

- Advertisement -

টেক্সাসের এনআরজি স্টেডিয়ামে কোপার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ফুটবলপ্রেমীরা স্বাক্ষী হলো টানটান উত্তেজনার এক ম্যাচের। নির্ধারিত সময়ে আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র। ফলে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল লিওনেল মেসির দল।

আগামী ৯ জুলাই সেমিফাইনালে মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার ভেনেজুয়েলা ও কানাডার মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।

ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ড্র করার পর মেসি প্রথম গেলেন টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নিতে। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এবার আর বল জালে না গিয়ে চলে গেল বারের ওপর দিয়ে। তবে আর্জেন্টিনার ভরসা হিসেবে যে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ছিলেন! টাইব্রেকারে ইকুয়েডরের প্রথম দুই শটই ঠেকিয়ে দিয়ে ফেটে পড়লেন উচ্ছ্বাসে। এরপর আর জয় পেতে আর্জেন্টাইনদের বেগ পেতে হয়নি। ৪-২ গোলের জয়ে সেমিতে উঠল আকাশি-নীলরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও বেশ ভালো খেলেছে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩০নম্বর দল ইকুয়েডর। ৬ষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কাইসেদো। কিন্তু তার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে।

ম্যাচের ১৫তম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনাকে বাঁচান ওই মার্তিনেজই। বক্সের ডান দিয়ে আক্রমণে উঠলেও তাঁকে পরাস্ত করতে পারেননি ইকুয়েডরের কেন্দ্রি পায়েস। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এসে প্রথমবার বড় সুযোগ পায় আলবিসেলেস্তেরা। ডান প্রান্ত থেকে নাহুয়েল মলিনার ক্রস করা বলে এনজো ফার্নান্দেজের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

৬ মিনিট পরেই মেসির পাস থেকে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে শট নেন এনজো। কিন্তু তাঁর শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। এরপরই অবশ্য আর্জেন্টিনা কর্নার পায়। মেসির কর্নার থেকে অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার হেড করলে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো লিসান্দ্রো মার্তিনেজ হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পেয়ে ফার্নান্দেজ ক্রস করলেও তাতে পা লাগাতে পারেননি লাওতারো মার্তিনেস। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মেসির দল।

দ্বিতীয়ার্ধে বল দখল এবং আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করেছে ইকুয়েডর। একের পর এক আক্রমণে আর্জেন্টিনাকে খানিকটা কোণঠাসাই করে ফেলে ফেলিক্স সানচেজের দল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে কর্নার ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করেন ডি পল। তবে পেনাল্টি পেলেও এনার ভ্যালেন্সিয়ার শট বাম পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বক্সে দি পলের ক্রসে প্রথমবার গোলের সুযোগ পান মেসি। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডর গোলকিপার দমিঙ্গেস।

আর্জেন্টিনা যখন জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ঠিক সে মুহূর্তেই ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে হেড থেকে গোল করে দলকে সমতা ফেরান কেভিন রদ্রিগেস। ফলে নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে খেলা চলে যায়। সেখানেই গোলবারের নিচে মার্তিনেজের দৃঢ়তায় ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img