মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল; প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে হারে দীর্ঘায়িত হয়েছিল অপেক্ষা। উদযাপনের মঞ্চ হিসেবে প্রস্তুত ছিল হোম অব ক্রিকেট; দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শিরোপার স্বাদ শেখ জামাল পেলো মিরপুরে; উইনিং রান এলো নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
শীর্ষ দল হিসেবেই সুপার লিগ মিশন শুরু করেছিল শেখ জামাল। সেরা ছয়ে দলের সাথে যুক্ত হয়েছিল দুই বড় নাম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুশফিকুর রহিম। তবে জামালের ম্যান অব দ্যা মোমেন্ট নুরুল হাসান সোহান; শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে তার ৮১ বলে ৮১ রানের ইনিংসই শুধু না; ৭ ম্যাচে একশোর বেশী গড়ে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রান করেছেন ৪৬৮।
মঙ্গলবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। পরে তৌহিদ হৃদয়ে ৫৩, জাকির আলী অনিকের ৪৭ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৪৪ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২২৯ তোলে আবাহনী। ১০ ওভারের ৩৬ রান খরচায় জিয়াউর রহমানের শিকার সর্বোচ্চ ২ উইকেট।
মিরপুরের উইকেটে ছোট লক্ষ্য কঠিন হয়ে যাওয়া ঘটনা অস্বাভাবিক না। জামালের শুরুটাও হয়েছিল তেমন। ৭২ রান তুলতেই শিরোপার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব হারিয়েছিল ৪ উইকেট। তবে মিডল আর লোয়ার মিডল অর্ডারদের দৃঢ়তায় ৩ ওভার আর ৪ উইকেট হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ব্যাট হাতে সেরা নুরুল হাসান সোহান। বল হাতে পারভেজ রসুল, ১৪ ম্যাচে ৩.২৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ২৬ উইকেট নিয়েছেন কাশ্মীরের এই স্পিনার। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের সেকেন্ড হায়েস্ট উইকেটরক্ষক তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী লিমিটেড: ২২৯/৬ (৫০ ওভার) (হৃদয় ৫৩, আফিফ ২৯, মোসাদ্দেক ১৫, জাকের ৪৭*, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ৪৪*; জিয়াউর ১০-১-৩৬-২, রাসুল ১০-২-৪০-১, সাইফ ৪-০-১৯-১, সুমন ৭-০-৪৭-১, সানজামুল ৯-০-৪০-১)
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৪৭ ২৩২/৬ (৫০ওভার) (মুশফিক ১৬, সোহান ৮১*, রাসুল ৩৩, জিয়াউর ৩৯*; মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ৮-১-৩৬-২, তানভীর ১০-৩-২৩-১, তানজিম ১০-০-৬৭-১, মোসাদ্দেক ৮-০-৩৫-১, শান্ত ৩-০-২৩-১)
ফল: ৪ উইকেটে জয়ী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব
ম্যাচসেরা: নুরুল হাসান সোহান