দরকার ছিল মাত্র ২৪ রান, সাকিব আল হাসান সেটা পূরণ করতে সময় নিলেন ৩৩ বল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকদের ‘সাকিব সাকিব’ চিৎকার, বিগ স্ক্রিনে ভেসে উঠলো কারণটাও, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিবের সাত হাজার রান পূর্ণ।’
কদিন আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছুঁয়েছেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে স্পর্শ করলেন ৭০০০! সনথ জয়সুরিয়া (১৩৪৩০ রান ও ৩২৩ উইকেট) এবং শহীদ আফ্রিদির (৮০৬৪ রান ও ৩৯৫ উইকেট) পর একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, যার নামের পাশে ৩০০ উইকেটের সাথে ৭০০০ রান।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে সাত হাজারের ক্লাবে সাকিব, প্রথমজন ওয়ানডে দলের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান (৮১৪৬)। তালিকার তিন নম্বর নামটাও এই সিরিজেই পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরা, মুশফিকুর রহিমও (৬৯০১) যে খুব কাছেই!
৬ আগস্ট ২০০৬, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসে ক্যারিয়ারের শুরু। মাঝে অনেকেই দলে এসেছেন, হারিয়েও গেছেন। সাকিব একমাত্র ক্রিকেটার যিনি খেলে গেছেন ধারাবাহিকভাবে, এখনও ধরে রেখেছেন ছন্দটা।
২০০৬ থেকে ২০২৩; এই সময়ের মধ্যে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলেছেন সর্বমোট ২২৮* ওয়ানডে, সাত হাজার রানে আছে ৫২ ফিফটি, ৯ সেঞ্চুরি; গড় ৪০ প্রায়, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৪।
বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক
তামিম ইকবাল- ৮১৪৬ রান (২৩৫ ইনিংস)
সাকিব আল হাসান- ৭০০০* রান (২২৮* ইনিংস)
মুশফিকুর রহিম- ৬৯০১ রান (২৪৩* ইনিংস)
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- ৪৯৫০ রান (২১৮ ইনিংস)
মোহাম্মদ আশরাফুল- ৩৪৬৮ রান (১৭৫ ইনিংস)