২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

দুর্দান্ত বাংলাদেশের সামনে অসহায় অস্ট্রেলিয়া

- Advertisement -

প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও টসে জিতেছিলেন ম্যাথু ওয়েড, বোলিং করবার সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করেননি একটুও। বুধবারেও টসে জিতলেন, কিন্তু এবারে নিলেন ব্যাটিং। স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলে চাপে ফেলতে চান টাইগারদের। প্রথম ইনিংস শেষে অজিদের সংগ্রহ ১২১ রান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংসের সূচনা করতে ব্যাটিংয়ে জস ফিলিপ-অ্যালেক্স ক্যারি, বোলিং প্রান্তে শেখ মাহেদি হাসান। মঙ্গলবার মাহেদির করা ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন বাহাতি ক্যারি, এজন্যই হয়তো আজ ইনিংসের সূচনা করলেন ডানহাতি ফিলিপ। প্রথম ওভারে দুজনই খেললেন সমান তিনটি করে বল, ওভার শেষে রান বিনা উইকেটে ১।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আগের ম্যাচের হিরো নাসুম আহমেদ। নাসুমকে যেভাবে রিভার্স সুইপ করে দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেন ক্যারি, তাতে মনেই হলো না আজ স্পিনারদের নিয়ে খুব বেশী চিন্তিত অজিরা।

মিরপুরে দুর্দান্ত বাংলাদেশ

তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আবারও মাহেদি। ব্যাটিং প্রান্তে ক্যারি বলেই হয়তো অধিনায়ক মাহেদির হাতেই বল তুলে দিলেন আরো একবার। এবং, তৃতীয় বলে মাহেদিকে মিডঅনের উপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সৌম্যের হাতে বন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে ক্যারি। পরপর দুই ম্যাচেই ক্যারিকে আউট করলেন মাহেদি। তিন ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ ১৩/১। মাহেদি ২ ওভারে ৩ রান দিয়ে ১ উইকেট।

পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ, প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিজকে স্বাগতম জানালেন ফিলিপ। কিন্তু চতুর্থ বলে মুস্তাফিজের স্লোয়ার কাঁটার বুঝতে না পেরে  অফ স্ট্যাম্পের উপরে গিয়ে যেভাবে লেগ স্ট্যাম্পে বোল্ড হলেন ফিলিপ, তা যেনো পুরো অস্ট্রেলিয়া দলের ইনিংসেরই প্রতিকি চিত্র হয়ে থাকলো। ছয় ওভারের পাওয়ারপ্লে শেষে অজিদের সংগ্রহ ৩২/২। দশ ওভার শেষে ৫৩/২। ২৭ রান করে অপরাজিত সাম্প্রতিক সময়ে সেরা ফর্মে থাকা মিচেল মার্শ।

১৫তম ওভারে বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলে মইসিস হেনরিকসকে আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড করে যখন প্যাভিলিয়নে পাঠাচ্ছেন সাকিব, ততোক্ষণে মার্শ-হেনরিকস জুটি করে ফেলেছে ৫২ বলে ৫৭ রান। ১৫ ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ ৯০/৩।  সাকিব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ টি উইকেট। ৩৮ রান করে তখনও অপরাজিত মিচেল মার্শ।

ফ্রাডলাইটের নিচে আজ আলো ছড়িয়েছেন ফিজ

১৭তম ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম বলেই  মিচেল মার্শকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেছেন শরিফুল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা মিচেল মার্শ যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, ততোক্ষণে খেলে ফেলেছেন ৪২টি বল। এরপর ইনিংসে থিতু হতে পারেননি আর কেউই। শেষ অব্দি অজিদের সংগ্রহ ১২১ রান। মুস্তাফিজ ২৩ রান  দিয়ে নিয়েছেন ৩ টি উইকেট।

পুরো ইনিংসেই স্পিনারদের বলে ভুগতে থাকা অজিরা আজও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। স্পিনারদের করা ১১ ওভারে রান নিতে পারেনি ২৮টি বলেই। অজিদের ভুগিয়েছে পেসাররাও। এক মার্শ ছাড়া সাবলীলভাবে পেসারদের খেলতে পারেনি আর কেউই্। প্রথম ইনিংসে অজিদের খেলা ৪৯টি ডট বল তো তাদের মাথা তুলে দাড়াতে না পারার গল্পই বলে যায়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img