শোল্ডার ইনজুরিতে পড়ে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষের আগেই দেশে ফিরতে হয়েছিল তাসকিন আহমেদকে। তবে একা নন, সঙ্গী ছিলেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রোটিয়া মুল্লুক থেকে ফেরার পর কোনো ক্রিকেটারই তেমন বিশ্রামের সুযোগ পাননি; যোগ দিয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। সময়ের সাথে ইনজুরি আক্রান্ত ক্রিকেটারের সংখ্যাও বেড়েছে; মেহেদী হাসান মিরাজতো প্রথম টেস্ট খেলতেই পারবেন না; ছোটখাটো চোট ভুগিয়েছে মুশফিকুর রহিম আর ইবাদত হোসেনকেও।
ক্রিকেটারদের বার্ষিক আয়ের বড় একটা অংশ আসে প্রিমিয়ার লিগ থেকে। তাই বিশ্রামে বা জাতীয় দলের সার্ভিসের জন্য নিজেকে ফিট রাখার চেয়ে তাদের কাছে মাঠের খেলাটাই বেশী প্রাধান্য পায়। যদিও অলরাউন্ডারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ বলেছেন, সময়ের চাহিদা মাথায় রেখেই ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
“যদি সুস্থ থাকতে চাই আমাদের বোলারদেরও অনেক ডমেস্টিক খেলা ছাড়তে হবে। লম্বা সময় সার্ভিস দিতে চাইলে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন ক্রিকেট বোর্ড থেকে চেষ্টা করা হয়, তবে নিজের লোভও কমাতে হবে। ডমেস্টিক টুর্নামেন্টগুলো থেকে অনেক টাকা পাওয়া যায় কিন্তু দেশকে লম্বা সময় সার্ভিস দিতে চাইলে হয়তো কিছুটা সেক্রিফাইস করতে হবে। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে আমরা সবাই প্রফেশনাল ক্রিকেটার। আমাদেরও টাকার প্রয়োজন আছে। সবকিছু ঠিক রাখার চেষ্টা করেই আসলে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট ঠিক করতে হবে”
ইংল্যান্ডে চলছে কাউন্টি ক্রিকেট মৌসুম। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াতে বৈশ্বিক আসর ছাড়া বাংলাদেশ দলের খেলার সুযোগ হয় না বললেই চলে। তারউপর কাউন্টি ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা অর্জনের ভালো জায়গা। সাম্প্রতিক সময়ে কাউন্টির প্রতি টাইগার ক্রিকেটারদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে তাসকিন আহমেদের ভাবনা একটু ভিন্ন।
“এই মৌসুমে পাকিস্তানের অনেক ফাস্ট বোলার কাউন্টি খেলছে। আমারও মনে হয়েছে। ওই জায়গাটা (কাউন্টি) আসলে শেখার ভালো জায়গা। ওটিস (ওটিস গিবসন) একবার বলেছিল তুমি ফ্রি থাকলে আমাকে জানাতে পারো। এই বছর আর হবে না, তবে ভবিষ্যতে যদি ফ্রি থাকি আর সুযোগ হয় আমি যেতে ইচ্ছুক”
শোল্ডার ইনজুরির ট্রিটমেন্ট করাতে বিসিবির তত্ত্বাবধানে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছেন তাসকিন। আগামী দশই এপ্রিল স্থানীয় একজন স্পেশালিষ্ট চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ঢাকা এক্সপ্রেস।