শেষ দিন ৩৮১ রান করতে হবে, জিততে হলে। এমন কিছু ঘটলে ভারত লিখবে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস। ইংলিশরা টার্গেট দিয়েছে ৪২০ রানের। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জিতার রেকর্ড আছে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের। ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতার সেরা ৫ রেকর্ডের দুটাতেই ক্যারিবিয়ানদের নাম। ভারতেরও অবশ্য একটা রেকর্ড আছে। ১৯৭৬ সালে ৪০৬ রানের টার্গেটে উইন্ডিজদের হারিয়েছিল। ৪৪ বছর আগের ওই রেকর্ড এখন কোহলিদের প্রেরণা হতে পারে।
চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ এক উইকেটে ৩৯ রান। দিনটা ছিল বোলারদের। এদিনে দু’দলই ব্যাট করেছে। নির্দিষ্ট করে বললে চেন্নাইয়ের উইকেট চতুর্থ দিন সবমিলে ১৫ উইকেট পড়েছে। তাই ম্যাচের শেষ দিনটাও ইংল্যান্ডের ভরসা বোলাররাই। সেক্ষেত্রে ভারতের জিততে হলে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কাউকে খেলতে হবে অসাধারণ কোন ইনিংস। অন্তত ম্যাচ ড্র করার জন্য হলেও।
৬ উইকেটে ২৫৭ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসের খেলা শুরু করেছিল ভারত। ক্রিজে ছিলেন অশ্বিন এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। আগের দিনের সাথে ২৩ রান যোগ করে আউট হন অশ্বিন, ৩১ রানে। ভারতের শেষ চার উইকেট ভাগভাগি করে নেন জ্যাক লিচ এবং অ্যান্ডারসন। একপাশ আগলে রেখেও লাভ হয়নি ওয়াশিংটনের। ৩৩৭ রানে থামতে হয় স্বাগতিকদের। ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়াশিংটন সুন্দর। চার উইকেট নিয়ে ইনিংস সেরা বোলার টম বেস।
তখনও ভারত পিছিয়ে ছিল ২৪১ রানে। ফলোঅন করায়নি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়বার ব্যাটে না নামার একটা চ্যালেঞ্জ নিতে পারতেন ইংলিশ অধিনায়ক। কিন্তু নেননি। ব্যাটিংয়ে নেমে হারে হারে টের পেয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১৭৮ রানে অলআউট। এক অশ্বিনকে সামলাতেই ঘাম ঝড়েছে ইংল্যান্ডের। যেখানে প্রথম ইনিংসে ৫৭৮ রান ছিল ইংলিশদের, দ্বিতীয় ইনিংসে তারা দাড়াতেই পারেনি। আগের ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান জো রুট দ্বিতীয় ইনিংসেও সেরা। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিতে ৬ উইকেট নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
অবশ্য ম্যাচ জিততে যা করার তাতো আগেই করে রেখেছেন জো রুট, ডাবল সেঞ্চুরি তুলে। ৪২০ রানে টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতকে শেষ বেলায় হারাতে হয় রোহিত শর্মাকে। পরে আর কোন বিপদ ঘটেনি। শুবমান গিল এবং পুজারা আছেন ব্যাটিংয়ে শেষ দিনে রোমাঞ্চ ছড়াতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ৫৭৮ এবং ১৭৮
ভারত ৩৩৭ এবং ৩৯/১