৩২ বছর আগের একটা সুখস্মৃতি জানার কথা না পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের। সেই সুখস্মৃতি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রেরণা হতে পারতো পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জন্য। ১৯৮৮ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ১২৯ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করেছিলো পাকিস্তান। ৩২ বছর পর সেই সুযোগটা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টিকে থাকার দরকার ছিল আর মাত্র কয়েকটা ওভার। তাহলেই মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে হার এড়াতে পারতো রিজওয়ানরা। চতুর্থ ইনিংসে তারা ব্যাট করেছে ১২৩ ওভার তিন বল। টেস্টের শেষ দিনের ৪ ওভার তিন বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের জয় ১০১ রানের।
টেস্টে জয় পাওয়ার চেয়ে পঞ্চম দিন পাকিস্তান ড্র করার মানসিকতা নিয়েই খেলেছে। হাতে ছিল ৭ উইকেট। ৩ উইকেটে ৭৩ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে। ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের কল্যাণে দিনের একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল টেস্টটা ড্র–ই করে ফেলবে পাকিস্তান। এ দু’জন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কিউই বোলারদের বিপক্ষে।
দিনের শেষ সেশন পাকিস্তান শুরু করে ৪ উইকেটে ২১৫ রান নিয়ে। ফাওয়াদ আলম টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১ বছর পর দেখা পান সেঞ্চুরির। ৩৯৬ মিনিট ব্যাটিং করে ২৬৯ বল মোকাবিলা করে করেছেন ১০২। টেস্টে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
অধিনায়ক রিজওয়ানকে নিয়ে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েও শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ ধরে রাখতে পারেননি ফাওয়াদ আলম। এই জুটির বিদায়ের পরই কিউইরা স্বস্তিতে ফিরেন।
শেষ সময়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি আর নাসিম শাহ নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিলেন। প্রায় ৮ ওভার নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপ সামলেছেন ওরা। কিউইদের চাপে আর পেরে উঠেননি। নাসিম শাহের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চকর টেস্টের ইতি টানেন স্যান্টনার। এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০ তে এগিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ৪৩১ ও ১৮০/৫(ডিক্লেয়ার্ড)
পাকিস্তান ২৩৯ ও ২৭১