২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

নিজ দেশেই ফিরতে পারছেন না অজি ক্রিকেটাররা

- Advertisement -

করোনার প্রকোপ দিনকে দিন বাড়ছে ভারতে। মহামারীর কালো থাবা পড়েছে আইপিএলের চৌদ্দতম আসরেও। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার, মিস্ট্রি স্পিনার বরুন চক্রবর্তী এবং সঞ্জিব ওয়ারিয়ার। ধারনা করা হচ্ছিল কেকেআর পেসার  প্যাট কামিন্সও কোভিড পজেটিভ। ঘন্টা কয়েকের ব্যবধানে খবর আসে,  করোনা পজিটিভ চেন্নাই শিবিরের তিন কর্মকর্তা। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই  মঙ্গলবার সকালে দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্রা এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ঋদ্ধিমান সাহার ফলাফল আসে পজিটিভ। তাই কোনধরনের ঝুঁকি না নিয়েই আইপিএল স্থগিত করার ঘোষনা দেয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ( বিসিসিআই) ।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আতঙ্কে আগেই আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন জ্যাম্পা, রিচার্ডসনের মতো তারকারা। আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেও বাড়িতে ফেরা হয়নি তাদের। ভারতে করোনা প্রকোপ বাড়ায় ভারতের সঙ্গে আকাশ  পথে সব ধরনের যোগাযোগ  বন্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তাই হোটেল বন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে সময়। ক্রিস লিন স্পেশাল চাটার্ড বিমানের দাবি জানালেও সে দাবি নাকচ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার।

আইপিএলে বরাবরই থাকে অজিদের আধিক্য, তা খেলোয়াড় হোক কিংবা ধারাভাষ্যকার।  এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিয়ামানুসারে ভারত থেকে বর্তমানে কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না তাসমান পাড়ের দেশটায়। তাই আপাতত অজিদের দেশে ফেরা আর হচ্ছে না । তাদের আটকে থাকতে হচ্ছে এই মৃত্যুপুরীতেই। বিপদ যখন আসে সবদিক থেকেই আসে।  উল্টো ঘটনা আবার দক্ষিন আফ্রিকায়, দেশে প্রবেশে তাদের নেই কোন বিধি নিষেধ।

বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে থাকতে হবে ১৪ দিনের বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টিনে।  তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নেই কোন আকাশ পথে যোগাযোগ, দেশে আসতে হলে মাধ্যম স্থলপথ। ইংরেজ ক্রিকেটারদের জন্য ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম তুলনামূলক কঠিন, ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের পাশাপাশি দুইবার দিতে হবে কোভিড টেস্ট।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img