ভালো সময়, খারাপ সময়, ঘুরে দাঁড়ানো। টেস্ট ক্রিকেট একেই বলে। জীবনের মোড়ে, মোড়ে থাকে উত্থান-পতন, টেস্ট ক্রিকেটেও তাই। জীবন বলে ধৈর্য্য ধরো, সুদিন আসবেই, লাল বলের ক্রিকেটাও ওই একই আদর্শে চলে। সিন্ধু তীরের শহর করাচীতে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-সাউথ আফ্রিকা। শুক্রবার ছিল টেস্টের ৪র্থ দিন, প্রত্যাশা ছিল দারুণ লড়াইয়ের, তবে সহজেই জিতেছে পাকিস্তান।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সাউথ আফ্রিকার এগিয়ে ছিল ২৯ রানে, হাতে ছিল ৬ উইকেট। চতুর্থ ওই ৬ উইকেটে তারা তুলতে পেরেছে কেবল ৫৮ রান। স্বাগতিকদের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নুমান আলী, চারটা ইয়াসির শাহ।
৮৮ রানের লক্ষ্যে শুরুতে ২ উইকেট হারালেও ৭ উইকেটের সহজ জয়ই পেয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজম আউট হয়েছেন ৩০ করে, আজহার আলী অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে।টেস্টের প্রথম ইনিংসে আড়াইশোও করতে পারেনি প্রোটিয়ারা, তবে বল হাতে শুরুতে রাবাদা-মহারাজরা কাঁপিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানের ভীত। পরবর্তীতে ফাওয়াদ আলমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল পাকিস্তান।
যদিও দেড়শোর বেশী লিডের পরেও স্বস্তিতে ছিল না পাকিস্তান। কারণ মার্করাম- ভ্যান ডার ডুজেন ব্যাট হাতে জবাবটা দিচ্ছিলেন বেশ। তবে আবার কলাস্প, তৃতীয় দিনের আলোর বিদায় ক্ষণে বিদায় মিছিলে যুক্ত হয়েছেন মার্করাম, ডুজেন, প্লেসি। চতুর্থ দিনে সেই বিদায় মিছিল লম্বাই হয়েছে কেবল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: সাউথ আফ্রিকা (১ম ইনিংস) : ২২০
পাকিস্তান (১ম ইনিংস): ৩৭৮
সাউথ আফ্রিকা (২য় ইনিংস): ২৪৫ (১০৩.৩ ওভার) (মার্করাম ৭৪, ডাসেন ৬৪; হাসান ১৬-১-৬১-১, নুমান ২৫.৩-৮-৩৫-৫, ইয়াসির ৩৩-৭-৭৯-৪)
পাকিস্তান (২য় ইনিংস): ৯০/৩ (২২.৫ ওভার) (আজহার ৩১*, বাবর ৩০, বাট ১২; নরকিয়া ৭-১-২৪-২, মহারাজ ১.৫-০-১২-১)
ফলাফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ফাওয়াদ আলম