২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

পরবর্তী চোট ছিটকে দিতে পারে ৬ মাসের জন্য, ঝুঁকি নেবেন তামিম?

- Advertisement -

তামিম ইকবালের রিহ্যাবের প্রায় চার সপ্তাহ পূর্ণ। কিন্তু হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে সুস্থতার পথে কতুটুকু এগিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক, সেটা নিয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য বিসিবির পক্ষ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমে গেল এক সপ্তাহে বিভিন্ন সময়ে তামিমের ইনজুরি বিষয়ে কথা বললেও সুস্পষ্ট তথ্য কখনোই পাওয়া যায়নি আর সব প্রশ্নই আটকে গেছে একটা প্রশ্নে, নিউজিল্যান্ড সিরিজে তামিম খেলবেন? নাকি, খেলবেন না?

সৌজন্য: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

বিসিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র অলরাউন্ডারকে জানিয়েছে, জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফেরার পর জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে তামিম ইকবালের হাঁটুর এসিএল (ACL, Anterior Cruciate Ligament) ইনজুরি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান শল্য চিকিৎসক ডেভিড ইয়াং।

সূত্রের দাবী, ড: ইয়াং নাকি বলেছেন, “তামিমের স্বুস্থ হতে লেগে যেতে পারে প্রায় ৩ মাস” – এই কথার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে বিসিবির বিভিন্ন পক্ষের পরবর্তী বক্তব্যে, যেখানে ঘুরেফিরে বারবারই বলা হয়েছে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের কথা। অর্থ্যাৎ, ডেভিড ইয়াংয়ের বক্তব্য বা পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতেই মন্তব্য করেছেন বিসিবি সংশ্লিষ্টরা। এবার আসা যাক সেই ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের হিসেবে।

ইনজুরির চিকিৎসায় এরই মধ্যে প্রায় ৪ সপ্তাহ পার করা তামিমের উন্নতির গ্রাফ বেশ ভাল বলেই জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের একটি সুত্র জানিয়েছে, ‘সর্বনিম্ন ৬ সপ্তাহ যদি ধরা হয়, তাহলেও তামিমের সুস্থ হতে হতে এই মাসের (আগস্ট) শেষ। ফিজিওর (জাতীয় দলের) তত্ত্বাবধানে তামিমের শারীরিক উন্নতিও হচ্ছে বেশ ভাল গতিতে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্কিল ট্রেনিং। যে পর্যন্ত স্কিল ট্রেনিং শুরু না হবে, সেই পর্যন্ত বলা যাবে না আসলেই তামিম পুরোপুরি সুস্থ কিনা

সৌজন্য: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

সুত্রের কথার মেনে যদি বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে খুব সহজেই বলা যায়, সেপ্টেম্বরের আগে ব্যাটিং অনুশীলনে নামতেই পারবেন না টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক; সেও যদি আটের বদলে ছয় সপ্তাহেই স্বুস্থ হন, তাহলেই। আর ব্যাটিং স্কিল নিয়ে কাজ করার মানেই হচ্ছে, কমপক্ষে সপ্তাহখানেকের আগে ব্যাটিংটাও ঠিকঠাক হাতে আসবে না। আবার, ব্যাটিং শুরুর পর তামিম নিজে কেমন বোধ করেন কিংবা ইনজুরির ওই জায়গা নতুন কোন সমস্যা তৈরী করে কিনা, এই পর্যবেক্ষনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, হয়তোবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও।

সৌজন্য: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক কিংবা আশি ভাগ প্রস্তুত তামিম ইকবাল নিজেও কি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে চাইবেন? নাকি টিম ম্যানেজমেন্ট জোর করে হলেও তামিমকে খেলাবে? স্বাভাবিক বোধ-বুদ্ধি বলে, দুটোর কোনটাই হবে না, হওয়া উচিতও নয়। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার পরেও যদি সত্যি সত্যিই তামিমকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঝুঁকি নিয়ে খেলানো হয়, তাহলে আগামীতে এসিএলের (ACL, Anterior Cruciate Ligament) চোট বেড়ে আরও বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ। তেমনটা হলে; তামিম মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে পারেন অন্তত ৬ মাসের জন্য। এই ঝুঁকির কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং তামিম ইকবাল দুই পক্ষেরই খুব ভাল জানা আছে। সেই কারণে বলা যায়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের মাঠের নামার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তারপরও যদিও নামেন, সেটা হবে সর্ব্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img