শেষ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রথম ৩ বলে মাত্র ৩ রান দিলেন হারিস রউফ। ততক্ষণে হয়তো পাকিস্তানের সমর্থকরা জয় উদযাপন করা শুরুও করে দিয়েছিলেন কিন্তু কে জানতো শেষ ৩ বলে ১১ রান তুলে ড্র করে ফেলবে স্বাগতিকরা। হ্যাঁ ম্যাচে ঘটেছে সেটাই।
সুপার ওভারে মোহাম্মদ আমিরের ওভার থেকে ১৮ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান তুলতে পারে পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র পায় ৫ রানের জয়। বিশ্বকাপে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন বাবর আজম।
উইকেট খুব একটা ব্যাটিং সহায়ক নয়, অসমান বাউন্স, পেসারদের জন্য থাকে বাড়তি সুবিধা। এসব কিছু মাথায় রেখে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহুর্তও দেরি করেননি যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। শুরুতে পাকিস্তানের দুই উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেছেন নশথুশ কেনজিগে-সৌরভ নেত্রাভাকার। ১৪ রানে দুই মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খানের উইকেট হারায় পাকিস্তান।
ফখর জামান উইকেটে এসেই ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে তিনিও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। ৭ বলে ১১ রান করে আলি খানের বলে স্টিভেন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ফখর।
পাকিস্তানকে বিপদে পড়তে দেননি বাবর আজম ও শাদাব খান। দুজনের জুটিতে ৪৮ বলে ৭২ রান তোলে পাকিস্তান। ২৫ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় শাদাব ৪০ রান করে আউট হলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর দ্রুত ফিরেছেন বাবরও। তার আগে ৪৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেছেন ৪৪ রান।
পাকিস্তান মূলত ১৫৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ইফতেখার আহমেদ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যাণে। ১৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন ইফতেখার। শাহিন অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ২৩ রান করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন নশথুশ কেনজিগে। ২টি উইকেট শিকার করতে সৌরভ নেত্রাভাকার খরচ করেছেন ৪ ওভারে ১৮ রান।
১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে যুক্তরাষ্ট্র। একপ্রান্তে স্টিভেন টেইলর ধীর গতিতে খেললেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন প্যাটেল। টেইলরকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসিম শাহ। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৬ বলে ১২ রান করেন যুক্তরাষ্ট্রের এ ওপেনার।
পাকিস্তানের বোলারদের দারুণভাবে সামাল দিয়েছেন প্যাটেল। শাহিন আফ্রিদি-মোহাম্মদ আমিরদের সুবিধা করতে দেননি। প্যাটেলকে দারুণ সঙ্গ দেন আন্দ্রিস গুস। ৩৪ বলে ফিফটির দেখা পান যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক। এরপর অবশ্য স্কোরবোর্ডে আর রান যোগ করতে পারেননি তিনি। আমিরের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপর গুসকে ফিরিয়েছেন হারিস রউফ।
অ্যারন জোন্স ও নিতিশ কুমার ম্যাচে রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে। শেষ দুই ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। ২০ রান তুলে ম্যাচ ড্র করেন তারা দুজন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।