ইংল্যান্ডকে হারানোর পর আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহীদি বলেছিলেন, “হতে পারে ২০১৫ সালের পর বিশ্বকাপে এটা আমাদের প্রথম জয়, কিন্তু শেষ জয় নয়”। পাকিস্তানকে হারানোর পর বলেছিলেন, “আমরা সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি”। আর তার কথার সত্যতা কতটা, সেটার একটা প্রমাণ বোধহয় শ্রীলঙ্কাকে হারানোতেই মেলে। সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের জয় ৮ উইকেটে। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে!
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। এমন ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪১ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন পাথুম নিশাঙ্কা।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে একপ্রান্তে নিশাঙ্কা দারুণ ব্যাটিং করলেও একাদশে ফেরাটা কাজে লাগাতে পারেননি দিমুথ করুণারত্নে। ২১ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তিনে আসা কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে ৭৭ বলে ৬২ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে লঙ্কান ওপেনার ৬০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৬ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিলে ভাঙ্গে সেই জুটি।
শ্রীলঙ্কার প্রথম সাত ব্যাটারই রান করেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। তবে কেউই পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। কুশল মেন্ডিস ৩৯ (৫০), সাদিরা সামারাবিক্রমা ৩৬ (৪০), চারিথ আসালাঙ্কা ২২ (২৮), ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১৪ (২৬) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২৩ (২৬) সবাই পেয়েছিলেন শুরু কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।
শেষের দিকে এসে মাহিশ থিকসানা দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন।
আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন ফাজাল হক ফারুকি। মুজিবুর রহমান নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান।