২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

ফ্রান্সকে রুখে দিলো হাঙ্গেরি

- Advertisement -

হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনার দর্শকপুর্ন গ্যালারিতে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ফ্রান্স। একে তো এক গোলে পিছিয়ে, তার উপর প্রতিপক্ষের দর্শকদের সামনে খেলার চাপ। দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট বিশেক খেলা হয়েছে। ফ্রান্স অধিনায়ক এবং গোলকিপার হুগো লরিসের লং বল ধরে বক্সের দিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের দৌড়। জায়গা বানিয়ে ডি বক্সের মাঝে বল পাঠালেন পিএসজি স্ট্রাইকার। সেই বল উইলি অরবান ক্লিয়ার করার আগেই গুলির মতো শটে বল জালে জড়ালেন আতোঁয়া গ্রিজমান। ফলাফল সমতা। বার্সেলোনা স্ট্রাইকারের ৬৬ মিনিটের গোলে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

পয়েন্ট হারালেও বৈশ্বিক আসরে নিজেদের শেষ ৯ ম্যাচে অপরাজিত রইল ফ্রান্স।  তবে এ ড্রয়ের ফলে বিশ্ব আসরে তাদের টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের দৌড় থামল। ১৯৭৬ এর পর এই প্রথম ফ্রান্সের বিপক্ষে অপরাজিত থাকলো হাঙ্গেরি। প্রথমে গোল করে কখনোই ইউরোতে ম্যাচ হারেনি হাঙ্গেরি, সেই রেকর্ডও বজায় রেখেছে হাঙ্গেরিয়ানরা। বল পজিশন, গোলমুখে শট কিংবা কর্নার- সবকিছুতে এগিয়ে থাকলেও গোলের খেলা ফুটবলে সেই গোলেই তো এগিয়ে থাকতে পারেনি দিদিয়ের দেশমের শিস্যরা।

ইউয়েফা ইউরো ২০২০ এর ‘গ্রুপ অব ডেথ’ খ্যাত গ্রুপ এফের ম্যাচে ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ফেভারিট ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে গোল করার সুযোগ ছিল করিম বেনজেমার সামনে। তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার পিতের গুলাক্সি। ফিরতি বলে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন আতোঁয়া গ্রিজমান। পুরো ম্যাচেই ছিল ফ্রান্সের এমন গল্পের পুনরাবৃত্তি। মিসের পর মিস করেছে ফরাসিরা। মিনিট তিনেক পর এমবাপ্পের হেড চলে যায় হাঙ্গেরি গোলপোষ্টের সামান্য বাইরে দিয়ে।

৩১ মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বেনজেমা। এমবাপ্পের ফ্লিক থেকে একদম ফাঁকা পোষ্টে পেয়েও বেনজেমা ভলি মারেন বাইরে।  উলটো প্রথমার্ধের শেষের বাঁশি বাজার মিনিট দুইয়েক আগে গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স। বেঞ্জামিন পাভার্দের দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নেন রোল্যান্ড সালাই। মাঝমাঠে বল পেয়ে এই হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার থ্রু বল বাড়ান আত্তিলা ফিওলার উদ্দেশ্যে। ফিওলা দৌড়ে পেছনে ফেলেন ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানেকে। সেখান থেকে গোল করে ১-০ গোলে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে দেন ফিওলা। এক গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিরতি থেকে ফিরেও সেই ফ্রান্স সেই মিসের মহড়া দিতে থাকে।  ৫৯ মিনিটে মিস করেন উসমান দেম্বেলে।  মিনিট সাতেক পরে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান গ্রিজমান।  ৬৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল এমবাপ্পের সামনে। গ্রিজমানের ফ্রি কিক থেকে গোল করতে ব্যার্থ হন এমবাপ্পে।  ৮২ মিনিটে  আবারো  মিস করেন এমবাপ্পে, এবার তাকে হতাশ করেন গোলকিপার গুলাক্সি। ফলে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img