রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বিনা উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ৪২ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৩ রান।
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে সুরটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। চতুর্থ দিনের সকালে শুরুটা পাকিস্তান ভালো করলেও তাদের প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টিকেনি। বাংলাদেশের তিন পেসারের তোপের মুখে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।
নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মিলে নিয়েছেন পাকিস্তানের দশ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেছেন হাসান।
২ উইকেট হারিয়ে ৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। গতকালের অপরাজিত ব্যাটার সাইম আইয়ুবের সাথে জুটি গড়ে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন শান মাসুদ। ৩৫ বলে ২০ রান করা আইয়ুবকে ফিরিয়ে ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।
পুরো সিরিজ জুড়ে গতি দিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটারদের পরীক্ষা নেওয়া নাহিদ রানার শিকার হয়ে ফিরেছেন বাবর আজম। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দারুণ লেংথে বল করে ডানহাতি এ ব্যাটারকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন নাহিদ। পরের বলেও উইকেট পেতে পারতেন এ স্পিড স্টার। তবে স্লিপে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম।
এরপর সৌদ শাকিলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেন নাহিদ। তবে শূন্য রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান ভোগাচ্ছিলেন টাইগার বোলারদের। দারুণ ব্যাটিং করে ছুটছিলেন ফিফটির দিকে। তবে তার আগেই রিজওয়ানকে থামিয়েছেন হাসান। উইকেটের পেছনে লিটন কুমার দাশের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন টাইগার এ পেসার। পরের বলেই মোহাম্মদ আলীকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন হাসান।
শেষের দিকে চেষ্টা করেছিলন সালমান আলী আগা। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৪৩ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান। ৪টি উইকেট শিকার করেছেন নাহিদ। তাসকিনের শিকার ১ উইকেট।
বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের দুর্দান্ত শুরু এনে দেন জাকির হাসান। পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সাদমান ইসলাম। চতুর্থ দিন শেষে ২৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত জাকির, সাদমানের সংগ্রহ ৯ রান।
