ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ( আইপিএল ) রোববার বিকেলে দিল্লিতে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস । ব্যর্থতার পর ব্যর্থতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে দুদলের, জয় এবং জয়ই একমাত্র সম্বল। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে হায়দ্রাবাদ আর চোট জর্জরিত রাজস্থান রয়্যালসের বিদেশি খেলোয়াড় আছেই মোটে চারজন। তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে হায়দ্রাবাদ আর রাজস্থানের পরিবর্তন দুটো। সবথেকে বড় পরিবর্তন, ওয়ার্নারের জায়গায় মাঠে নেমেছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী।
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেন উইলিয়ামসন। শুরুতেই প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর চড়াও হন রাজস্থান ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল, কিন্ত থামতে হয় রশিদ খানের বলে। প্রাথমিক চাপ সামাল দেন অধিনায়ক সাঞ্জ স্যামসন এবং অভিজ্ঞ জস বাটলার। হায়দ্রাবাদ বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মাতেন এই দুই ব্যাটসম্যান। বিজয় শংকরের বলে আব্দুল সামাদের অসাধারণ ক্যাচে ফিরে যাওয়ার আগে স্যামসন করেছেন ৪৮, কিন্ত অর্ধশতক পেরিয়ে ঠিকই শতক তুলে নেন জস বাটলার। শেষ পর্যন্ত সন্দ্বীপ শর্মার বলে বোল্ড হওয়ার আগে খেলেন ৬৪ বলে ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষদিকে রিয়ান পরাগের ৮ বলে ১৫ রানের ক্যামিওতে ২২০ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড়া করায় রাজস্থ্যান রয়্যালস।
লক্ষ্য পাহাড়সম হতে পারে কিন্ত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ অনুপ্রেরণা নিতেই পারত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের থেকে। শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ২১৯ রান তাড়া করে জিতেছে রোহিত শর্মার দল। রোহিতের দলে তো ছিলেন কায়রন পোলার্ড, উইলিয়ামসনের দলের পোলার্ড হবেন কে? সেই দ্বায়িত্বই হয়তো নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো, থেমে থাকেননি মনিষ পান্ডেও। দুই ওপেনারের নৈপূন্যে পাওয়ারপ্লেতেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ৫৭। কিন্ত বিধিঁবাম! মুস্তাফিজুর রহমান আক্রমণে এসেই ছত্রখান করেন হায়দ্রাবাদ ওপেনার পাণ্ডের স্ট্যাম্প।
সানরাইজার্স ব্যাটসম্যানদের খোলসবন্দী করতে প্রথম দুই ওভারে ফিজ খরচ করেন মাত্র দশ রান। পরের ওভারে রাহুল তেওয়াটিয়া বেয়ারস্টোকে ফেরালে মুহুর্তেই চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। কিন্ত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে হায়দ্রাবাদের আর লেখা হয়নি রুপকথা। মোহাম্মদ নবী ভয়ংকর হয়ে উঠলে আবারও রাজস্থানের ত্রাতা হয়ে আবির্ভুত হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত স্পেল করলেন কাটার মাস্টার । চার ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় তুলে নেন হায়দ্রাবাদের তিন উইকেট। আর অধিনায়ক পরিবর্তন করেও নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে ব্যর্থ হায়দ্রাবাদ।