ম্যাচের বাকি ৩২ ঘন্টা। তবে এই ম্যাচের যে উত্তাপ, তার আঁচ তো কমপক্ষে ৩২ দিন আগে থেকেই পাচ্ছে উপমহাদেশ। বাবর আজম নিজেও কি পান নি?
ভারত বনাম পাকিস্তান- ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই মহারণের আগেরদিন শনিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাবরের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া প্রথম প্রশ্নটিই ছিল,
“বাবর, গত কিছুদিন ধরে আপনার ঘুম ভালো হচ্ছে তো? নাকি দুশ্চিন্তায় ঘুমের সমস্যা হচ্ছে?”
ইঙ্গিত বুঝতে পেরে স্মিত হেসে বাবর বললেন, “না তেমন সমস্যা হচ্ছেনা। আমরা এর আগে অনেক ইভেন্ট খেলেছি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ওয়ার্ল্ড কাপ। তাই চাপের কিছু নেই। যত সিম্পল থাকব, রিল্যাক্স থাকবো, মৌলিক কাজ গুলো ঠিকঠাক করতে পারবো তত ভালো হবে। দলের সবাই নিজেদের মধ্যে কথা বলেছে, তারাও একমত। আমাদের হাতে তো আমাদের প্রস্তুতিই আছে। আশাকরি ম্যাচে নিজেদের ১০০% দেবো।”
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো ঠিক আছে; কিন্তু যে বিশ্বকাপের কথা বললেন বাবর, সেখানে তো দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ভারতের কাছে পাক্কা এক ডজনবার হেরেছে পাকিস্তান! এই কথা চিন্তা করে তো আসলে বাবর যতটা চাপহীন থাকার কথা বলছেন ততটা থাকার অন্তত তাঁর কথা নয়! ঘুরে ফিরে আবারো ‘সরল পথ’ অবলম্বন করার কথাই ফুটলো বাবরের মুখে।
“আমাদের চিন্তা যতটা সিম্পল থাকা যায় ও বেসিক ঠিক রাখা যায়। আগে কি হয়েছে, পরে কি হবে সেটা নিয়ে ভাবছিনা কেউই। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে আমাদের রেকর্ড ভালো নয়, তবে মনে রাখবেন, রেকর্ড ভাঙ্গার জন্যই হয়।”
প্রতিটি বিশ্ব আসরে পাক-ভারত দ্বৈরথটা ঘুরেফিরে মূলতঃ ‘ভারতের ব্যাটিং বনাম পাকিস্তানের বোলিং’ ই হয়। তবে এবার নাকি পাকিস্তান ‘ব্যাটিং’ দিয়েই ম্যাচ জিতবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাবর।
শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, হারিস রউফ, ইমাদ ওয়াসিমদের নিয়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ এবারও ভালোই; তবে এবার জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, রবীচন্দ্রন আশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা প্রভৃতি বোলারদের নিয়ে ভারতের বোলিং আক্রমণটা শুধু ভালো না, রীতিমতো ‘বিশ্বসেরা’রই মর্যাদা পাচ্ছে। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ প্রস্তুতি ম্যাচে খুব বেশি ভালো করতে পারেনি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের এনে দেওয়া ১৮৬ রানের পুঁজি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল বোলাররা।
তবে বাবর বলেছেন, এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, বরং ভিন্ন কম্বিনেশন ট্রাই করতে গিয়েই পা হড়কেছে প্রস্তুতি ম্যাচে।
“দেখুন পাক-ভারত ম্যাচে কখনোই আপনি রিল্যাক্স করতে পারবেন না। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে আমি বোলারদের ভিন্ন ভিন্ন কম্বিনেশন পরীক্ষা করেছিলাম জন্য বোলিং একটু খারাপ হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, আমাদের বোলিং প্রেশারে আছে।”
“সব দলের নিজ নিজ শক্তির জায়গা থাকে। আর বড় টুর্নামেন্ট সবসময় বোলাররাই জেতায়। আমাদের বোলিং সবসময়ই প্রতিপক্ষের জন্য হুমকির কারণ। তাদের যথেষ্ট এক্সপিরিয়েন্স আছে বিশ্ব আসরে খেলার। আশাকরি তারা নিজেদের কাজটা ঠিকমত করবে।”- যোগ করেছেন বাবর