২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

বার্সেলোনার ‘স্বস্তি’র জয়; বেনফিকার জালে বায়ার্নের এক হালি

- Advertisement -

২০২০-২১ ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ; গ্রুপ পর্ব; প্রতিপক্ষঃ ডায়নামো কিয়েভ; জেরার্ড পিকের গোল।

২০২১-২২ ইউয়েফা চাম্পিয়নস লিগ; গ্রুপ পর্ব; প্রতিপক্ষঃ ডায়নামো কিয়েভ; জেরার্ড পিকের গোল।

এই দুই ম্যাচের দুই গোলের মাঝামাঝি সময়টা বার্সেলোনার জার্সিতে কোন গোল ছিলোনা জেরার্ড পিকের। তবে এই কাকতালটুকু বাদ দিয়ে আগের বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের বার্সেলোনার সাথে এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বের বার্সেলোনার ফারাকটা আকাশ-পাতাল। সেবার জুভেন্টাসের সমান পয়েন্ট ও তদের চেয়েও একটি অ্যাওয়ে গোল বেশি নিয়ে শুধু হেড টু হেডে পিছিয়ে থাকার কারণে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে শেষ ১৬তে উঠেছিল বার্সেলোনা। আর এবার টানা দুই ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ও বেনফিকার দুই দলের কাছেই তিনটি করে গোল হজম করে হারার পর ডায়নামো কিয়েভের ম্যাচটি রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠার জন্য হয়ে উঠেছিল বার্সেলোনার ‘বাঁচামরার’ ম্যাচ।

সেই ম্যাচে গোল করেই ডায়নামো কিয়েভকে ১-০ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনার গ্রুপ পর্ব পেরোনোর আশা জীবিত রাখলেন জেরার্ড পিকে। ৩৬ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে জর্দি আলবার অ্যাসিস্টে দারুণ ফিনিশিং দেন পিকে। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিকের গোল হলো ১৬টি, ডিফেন্ডারদের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রবার্তো কার্লোসের সাথে যা যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। তৃতীয় স্থানে থাকা সের্হিও রামোসের গোল ১৫টি।

আগের দুইটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে না পারা বার্সেলোনা এই ম্যাচে তিনটি শট রেখেছে লক্ষ্যে। যদিও ওই গোলটি বাদে আর কোন গোল হয়নি। লুক ডি ইয়ং, সার্জিনিও ডেস্ট, ফিলিপে কুতিনিওরা সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।

এই জয়ে গ্রুপ ‘ই’ এর তিন নম্বরে অবস্থান করছে বার্সেলোনা।

এই গ্রুপের আরেক ম্যাচে বেনফিকাকে ৪-০ গোলে ‘হারিয়েছে’ বায়ার্ন মিউনিখ। ‘উড়িয়ে দিয়েছে’ ‘বিধ্বস্ত করেছে’ উপমাগুলো সম্ভবত আর যায় না বায়ার্নের সাথে, কারণ প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসানো বায়ার্নের জন্য এখন অতি স্বাভাবিক ব্যাপারই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লেরয় সানে করেছেন জোড়া গোল, রবার্ট লেভান্ডফস্কিকে দিয়ে করিয়েছেন আরো একটি। আরেকটি গোল আত্মঘাতী, বেনফিকার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার এভারটনের ভুলে।

তিন ম্যাচের তিনটিই দারুণোভাবে জিতে নিয়ে গ্রুপ ‘ই’র শীর্ষে রয়েছে বায়ার্ন। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে তারা বল পাঠিয়েছে ১২ বার, খায়নি একটিও।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img