২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

বিসিবির ভুল ঘোষণা, নাসুমের বাড়ি ফেরার আয়োজন

- Advertisement -

দেব চৌধুরী: হ্যালো

নাসুম আহমেদ: দাদা, আদাব।

বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে শুভকামনা জানালাম।

অবাক করে দিয়ে নাসুম বললো, “কি কারণে দাদা?”

এই যে, আপনি নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ডাক পেয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন।

নাসুম জানালেন, “তিনি দলে নেই। যে দল দেয়া হয়েছে সেখানে তার নাম নেই। টিম ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, তিনি কি ঢাকাতেই থাকবেন? নাকি সিলেট ফিরে যাবেন?

ততক্ষণে নাসুমের গলাটা বেশ ভারী। আগের দিন রাতেও জানতেন, তিনি নিউজিল্যান্ড সফরের দলে থাকবেন, কিন্তু বিকেলে দল ঘোষণার সাথে সাথেই মন খারাপের পালা শুরু। বিশ জনের দলে নাসুম নেই। থাকবেন কি করে? বিসিবি যে মেইল দিয়েছে তাতে এক রুবেল হোসেনের নামই দুইবার। পরবর্তীতে সেই ই-মেইল শুধরে নতুন বার্তা। যেখানে নাসুম আহমেদের নাম আছে।

ঘটনা জানাতেই মোবাইল ফোনের আরেক প্রান্ত থেকে নাসুমের হাসির শব্দ শোনা গেলো। অলরাউন্ডারের কাছেই প্রথম জানলেন, তিনি দলে আছেন। ধন্যবাদ জানাতেও ভুললেন না।

জিজ্ঞেস করলাম, “কেমন লাগতেছে?”

মৃদু হেসে নাসুম বললেন, “অনেকদিন অপেক্ষা করতেছি। কবে খেলবো, কবে খেলবো। কবে সুযোগ আসবে!! জিম্বাবুয়ের সাথে টি-টোয়েন্টিতে ডাক পেয়েছিলাম কিন্তু ম্যাচ খেলি নাই। তখন থেকেই লোভটা বেড়ে গেছে।”

হাসি দিয়ে বললাম, “লোভ বেড়ে গেছে নাকি!! এটা ভাল বলেছেন”

নাসুম: “হ্যাঁ, ভাই।  বিপিএলে কতটুকু কি করেছিলাম জানি না। নির্বাচকদের ভাল লাগছে, আমারে ডেকে নিছে। খেলতে পারি নাই, সেটা অন্য কথা কিন্তু আমার খেলার লোভ বেড়ে গেছে”

আপনি কি মানসিকভাবে প্রস্তুত? কথা শেষে জিজ্ঞেস করলাম। নাসুম বললেন, “শরীরটা খুব একটা ভালো না দাদা। সকাল থেকেই হালকা গা গরম। গতকাল ভ্যাক্সিন নিছিলাম তো, খেয়ে দেয়ে বিকেলে একটু ঘুমায় গেছিলাম। উঠে টিম লিস্ট দেখে মনটা খারাপ হইছিলো। দুই-তিনদিন থেকেই শুনতেছিলাম আমি দলে আছি। কালকে এক সাংবাদিক ভাই সাক্ষাৎকার নিলেন, তিনিও বললেন আমি নাকি দলে আছি। পরে লিস্ট দেখে মন খারাপ হইছিলো”

নিউজিল্যান্ড এমনিতেই কঠিন প্রতিপক্ষ, কন্ডিশনও উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য পারফর্ম করার জন্য সহজ না। নতুনদের জন্য কাজটা আরো কঠিন।

কথাগুলো মনে করিয়ে দেয়ার পর নাসুম আহমেদ বললেন, “কঠিন হইলেও কি করার আছে দাদা? সুযোগ পাইলে ভাল খেলতেই হবে। আমারতো টিকে থাকা লাগবে। এই সফরইতো শেষ না, আরো তো খেলতে হবে। আর প্রথম দিকে কোন কিছুই খুব “ইজি” হয় না দাদা”

আরো দুই চারটা কথা বলে শেষ করলাম। ফোন রাখার আগে বললাম, “অবশ্যই বিসিবি অফিশিয়ালি জানাবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেন”

ফোন রাখার মিনিট তিনেক পরে আবারো নাসুমের ফোন। দারুণ হাসিভরা গলায় বললেন, “দাদা, দলে আছি। দোয়া কইরেন”

এই প্রান্তে তখন আমার মুখেও হাসি। নাসুম আহমেদের হাসিমাখা মুখটা মনে করার চেষ্টা করছিলাম।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img