গোটা ম্যাচে বেলজিয়ামের লক্ষ্যে শট মাত্র ৪টি, যার তিনটিই নিয়েছেন টোবি আল্ডারউইল্ড; যিনি একজন ডিফেন্ডার। বাকি একটি ৮৬ মিনিটে নিয়েছেন বদলি হিসেবে নামা চার্ল ডি কেটলার, যেটিতে হয়েছে গোল। কিন্তু লাভ কি? প্রতিপক্ষ ইতালি যে তখনো এক গোলে এগিয়ে। অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখে আরেকটি শটও নিতে পারল না বেলজিয়াম।
এটিই গোটা ম্যাচের সামগ্রিক চিত্র। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে যে লড়াকু মনোভাবের দেখা মিলেছিলো, এই ম্যাচে সেটি কোথায় যেন হারিয়ে খুঁজলেন বেলজিয়ামের খেলোয়াড়রা। এমনকি নিজেদের আক্রমণের প্রধান চাবিকাঠি কেভিন ডিব্রুইনা তো ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মাঠেই ছিলেননা। ফাইনালে না উঠতে পারার আক্ষেপই পোড়াচ্ছিলো কিনা বেলজিয়ামের ‘সোনালী প্রজন্ম’কে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। কিন্তু রবার্তো মানচিনির ইতালি গত ম্যাচেও স্পেনের সাথে লড়াই করে হেরেছিল, এই ম্যাচেও একইভাবে লড়াই করে তুলে নিল জয়। নিকোলো বারেলা ও ডমিনিকো বেরার্দির গোলে বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউয়েফা নেশনস লিগে তৃতীয় হয়ে শেষ করেছে ‘আজ্জুরি’রা। ম্যাচের শেষদিকে ডি কেটলারের গোলটিই হয়ে থাকবে বেলজিয়ামের জন্য একমাত্র সান্ত্বনা।
FT: ITA ?? 2-1 BEL ??
Well played Italy ? Italy claims Third place ? in the #NationsLeague as they edge belgium by 2-1 …
Congratulations European Champion #Azzurri ? #ITABEL
UP Next; NEP??Vs IND ?? ( #SAFFChampionship2021 ) pic.twitter.com/EGAt19X5h8
— Samarpan Panta ?? (@Hey_Samarpan) October 10, 2021
বেলজিয়ামের দূর্বল ‘ব্যাক থ্রি’ রক্ষণভাগকে ম্যাচের শুরু থেকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছিলো ফেদেরিকো কিয়েসা-লরেঞ্জো পেলেগ্রিনিদের একের পর এক আক্রমণ। অপরদিকে বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও ইতালির জমাট রক্ষণের সামনে হালে পানি পায়নি বেলজিয়াম। ২৪ মিনিটে বেলজিয়ামের সবচেয়ে ভালো সুযোগটাই সম্ভবত পেয়েছিলেন অ্যালেক্সিস সেলেমেকার্স, তবে শট ক্রসবারে লেগে হন গোলবঞ্চিত। প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে ফেদেরিকো কিয়েসার একটি শট ওয়ান অন ওয়ান পজিশন থেকে থিবো কোর্তোয়া ফিরিয়ে না দিলে হয়ত প্রথমার্ধ ১-০ গোলেই শেষ করতো ইতালি।
তবে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি গোলের জন্য। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ঠিক পরপর কর্নার থেকে আসা বলে অসাধারণ এক ভলিশটে ইতালিকে এগিয়ে দেন নিকোলো বারেলা।
Barella struck it SO well on the volley for the Italy lead vs. Belgium ☄️ pic.twitter.com/3iIm1ahXV9
— B/R Football (@brfootball) October 10, 2021
গোটা ম্যাচেই ছন্নছাড়া ছিল বেলজিয়ামের আক্রমণ। ৫৯ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনা ও চার্ল ডে কেটলারকে নামানোর পর তা একটু গতি পায়; কিন্তু ইতালির জমাট রক্ষণ ও ছন্দময় আক্রমণের সামনে তারা অসহায়ই ছিল। হয়ত আজ সহায় ছিলোনা ভাগ্যও, ৬০ মিনিটে আরেকটি শট বারে লাগান বাতশুয়াই। এর খানিক্ষণ পর ফেদেরিকো কিয়েসার দৌড় ঠেকাতে গিয়ে তাকে ডিবক্সে পা বাঁধিয়ে ফেলে দেন টিমোথি কাস্টানিয়া। পেনাল্টি পায় ইতালি, যা থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডমিনিকো বেরার্দি।
৮৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্টে গোল করে বেলজিয়াম সমর্থকদের মনে সামান্য আশার সঞ্চার করেন ডি কেটলার। যেটি কিনা বেলজিয়ামের হয়ে এই ২০ বছর বয়সীর প্রথম গোল। এর কিছুক্ষণ আগেই আরো একটি শট বারে লেগে ফেরত আসে ইয়ানিক কারাস্কোর।
শেষ ৫ মিনিট ইতালি হাঁটেনি কোন রোমাঞ্চের পথে, সবাই নিজেদের অর্ধে সেঁধিয়ে করেছে রক্ষণ। নাহোক শিরোপা, তবে একেবারে খালি হাতে ফিরতে যেন রাজি ছিলনা ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।