টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার পূর্বে যেই আত্মবিশ্বাসটা তুঙ্গে ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের, সেটাকেই যেন বিশ্বকাপ শেষে হারিয়ে খুঁজছেন। সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে ভেবেও কিছুই যেন হচ্ছে না ঠিকঠাক! একটা জয় খুব বেশিই প্রয়োজন ছিল টাইগারদের। কিন্তু, পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়টা পেতে হলে যে খেলতে হবে দুর্দান্ত ক্রিকেট! কিন্তু, টাইগাররা তো খুঁজেই পাচ্ছেন না চেনা ছন্দ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে রিয়াদ বলেছিলেন স্কোরবোর্ডে একটা ভালো স্কোর তুলে বল হাতে রুখতে চান পাকিস্তানকে। কিন্তু, সেই ভালো স্কোরটা কি তুলতে পারল টাইগাররা? প্রথম দুই ওভারেই সকলকে নিরাশ করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মোহাম্মদ নাঈম-সাইফ হাসান। আফিফ হোসেনের সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাটা চোখে পড়লেও রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন আফিফও; করেছেন ২১ বলে ২০ রান।
অধিনায়ক রিয়াদও ব্যাট হাতে দেখাচ্ছিলেন আশা, কিন্তু সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রিয়াদ উল্টো ক্যাচ তুলে দিয়েছেন উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতেই! করেছেন ১২ রান। সেট হয়েও দলকে নিতে পারেননি এগিয়ে। এমনকি একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেয়া নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরেছেন ৪০ রান করেই। শান্তর ব্যাটের কোণায় লেগে বলটা যখন বোলার শাদাব খানের দিকেই যাচ্ছে, তখন উৎসুক জনতার চোখে মুখে হতাশা। বলটা যেভাবে নিজের বাঁমপ্রান্তে ঝাপিয়ে ধরেছেন শাদাব, তাতে প্রশংসা দাবী করতেই পারেন পাকিস্তান সহ অধিনায়ক।
সেট হয়েও ইনিংস শেষ করে আসতে পারাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিশ্চিতভাবেই জানেন খেলোয়াড়েরাও। কিন্তু, পিচে থিতু হয়েও কেনো পারছে না টাইগাররা ইনিংস শেষ করে আসতে, সেটার সমাধান তো খুঁজতে হবে তাদেরই। কিন্তু, একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে পারলে টাইগারদের রানটা যে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে অন্তত ১০৮ হতো না সেটা অনুমান করাই যায়। টাইগারদের হয়ে ইনিংসের শেষে নুরুল হাসান সোহান করেছেন ১১ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ১৫ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, ২২ রানে ২টি শাদাব খানের।