বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ধরণ এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার (সিএসএ) আকস্মিক কিছু অপ্রীতিকর সিদ্ধান্তে আপত্তি থাকায় বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকা দলকে যেতে হয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। এবার বোর্ডের জোরপূর্বক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো বোমা ফাটালেন দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা; জানালেন ঠিক কতোখানি মানসিক চাপে থাকতে হয়েছিল প্রোটিয়াদের।
“দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল হিসাবে, এই পুরো বিষয়টিকে ঘিরে আমাদের প্রচন্ড চাপের মধ্যে রাখা হয়েছিল; অন্য যেকোনো আন্তর্জাতিক দল,এমনকি যেকোনো স্থানীয় দলের চেয়েও বেশি”
একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দলের খেলোয়াড়দের সাথে পরামর্শ করাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন প্রোটিয়া দলপতি, নইলে ঘটতে পারে হিতে বিপরীত। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “বহু বছরের প্রথা ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার একটি সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেয়া প্রয়োজন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা এমন একটি পরিস্থিতি এড়াতে চেয়েছি, যেখানে খেলোয়াড়দের প্রতি নির্দেশ দেওয়া এবং একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করা হয়েছে। এটি আমাদের দৈনন্দিন আচরণে কি প্রভাব ফেলে না? আমাদের দেশে এমনিতেই অনেক বড় বড় সমস্যা রয়েছে। আমার মতে, শক্তিটা সেখানেই ব্যয় করা উচিত ছিল।”
কুইন্টন ডি কক ইস্যুর পর দলের খেলোয়াড়দের মাঠে হাঁটু গেড়ে বসা এবং হাত উঁচু করে প্রতিবাদ জানানো বাধ্যতামূলক করার আগে কিছুই জানানো হয়নি অধিনায়ককে। এমনটাই দাবি করে বাভুমা বলেন, “সবকিছুই খুব দ্রুত ঘটেছিল। দলের অধিনায়ক হিসেবে আমার পক্ষ থেকে কারও সাথে পরামর্শ করার সময় পর্যন্ত ছিল না। আমি নিজেকে এমন একটি অবস্থানে পেয়েছি যে নিজের মতামত প্রকাশের সুযোগটাও আমাকে দেয়া হয়নি।”
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরণের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে, নিজের মনোবলকে করতে হয়েছে শক্তিশালী। তাই দলপতি হিসেবে সতীর্থদের আবেগ এবং মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠার পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি আমি আমার প্রোটিয়া ক্যারিয়ারের দিকে তাকাই, আমার চারপাশে সবসময়ই একধরনের চাপ ছিল। একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসাবে, গত কয়েক বছর ধরে আমি সেই চাপ মোকাবেলার উপায় শিখেছি। আমাদের সবাইকে আবেগ একপাশে রেখে সকল সমস্যা মোকাবেলার চেষ্টা করতে হবে”