৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার

‘মিরাকলের’ অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট

- Advertisement -

স্বপ্ন পূরণের দিনগুলো এখনও ফুরিয়ে না গেলেও, স্বপ্ন দেখার দিনগুলো বোধহয় একটু একটু করে হারাতে বসছে বাংলাদেশ দল। অথচ, বিশ্বকাপের আগেই উড়ছিল টাইগাররা; জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজ জয় তো সেই বার্তাই দেয়। হঠাৎ করেই কি যেন হয়ে গেল, বদলে গেল পুরো দৃশ্যপটটাই। কয়েক মাস আগেও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দল সেই আত্মবিশ্বাসটাকেই খুঁজে হয়রান!

দৃশ্যপটটা যে বদলেনি একদিনেই সেটা অনুমান করাই যায়। সবসময়ই দৃশ্যপটের সামনে থাকা মানুষগুলোও যে শুধুমাত্র দায়ী, সেটাও বোধহয় বলাটা ঠিক হবে না। দৃশ্যের অন্তরালেও তো কিছু মানুষ থাকে, যারা ঠিক করে দেয় কোন পথে এগোবে দল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো; প্রত্যেকেই তো দৃশ্যের অন্তরালে থাকা সেই মানুষগুলোর মধ্যেই অন্যতম। তাদের পরিকল্পনা হয়ত কখনোই জানা যায় না, কিন্তু দিনশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট নামক গাড়িটার চালকের আসনে তো থাকে তারাই!

দৃশ্যের অন্তরালে থাকা মানুষদের মধ্যে অন্যতম তো ওরাই!

ম্যানেজমেন্ট তিন মাস সময় চেয়েছে, বিসিবি সভাপতি বলেছেন জানুয়ারিতেই আসবে আমূল পরিবর্তন। ব্যাপারটা এমন যেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বদলে যাবে মুহুর্তেই! কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এতদিন পেরিয়েও গুছিয়ে নিতে পারেননি দল, বুঝতে পারছেন না কাকে খেলানো উচিত কোন পজিশনে। নির্বাচকেরাও চাপের মুখে কিংবা নিজেদের দোষেই নিচ্ছেন একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত। মাঠের ক্রিকেটে চেনা ছন্দটাই খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররাও।

সবকিছুই যখন এলোমেলো, তখন সব একবারেই ঠিক হয়ে যাওয়ার আশা করাটাও বোকামি। নিশ্চিতভাবেই ধৈর্য ধরতে হবে ভক্ত-সমর্থকদের। কিন্তু, কতোটুকু সময় সেটাও কি নিশ্চিত আদৌ! পাইপলাইনে নেই পর্যাপ্ত খেলোয়াড়, সিনিয়রদের বিকল্প হিসেবে তৈরী করার চেষ্টাও করা হচ্ছে না বোর্ড থেকে। প্রতিনিয়ত একটাই কথা বলে আসা হচ্ছে, ‘সাকিব,মুশফিক,তামিম,মাশরাফীদের বিকল্প নেই একটাও।’ একটা প্রজন্ম বড়ই হচ্ছে এসব শুনতে শুনতে, তারাই বা কি করে আশা করবে সাকিব-তামিম হওয়ার!

সুদিন ফিরুক ক্রিকেটে

একদিনেই বদলাবে না কিছুই। সর্বোচ্চ বদলাতে পারে মাঠের পারফরম্যান্সটাই। জাতীয় দলে থাকা কারোরই প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাদের বেলায় ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিচিত বাক্যটা মনে রেখে বলাই যায়, ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট।’ চেনা ছন্দটা হয়ত ঠিকই ফিরে পাবেন ক্রিকেটাররা, কিন্তু দৃশ্যের আড়ালে থেকে যারা নিয়ন্ত্রন করছেন পুরো ক্রিকেটটাকেই, তারা কি আদৌ পারবেন বদলাতে? তাদের ক্ষেত্রে অন্তত ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’ কথাটা বলা যায় না। সর্বোচ্চ আশায় বাধা যায় বুক।

জীবনে যেকোন সময়েই নাকি মিরাকল ঘটতে পারে। এখন অপেক্ষা শুধুই একটা মিরাকলের…

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img