এমনিতেই উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গ, তার ওপর দলে বিশেষজ্ঞ মাত্র চারজন বোলার। এমন অবস্থায় সামান্যতম সুযোগ পেলেও সেটি ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
তবে মুমিনুল হককে সেটি বোঝাবে কে? গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভিউ না নিয়ে নিশ্চিত উইকেট পতন ঘটানোর সুযোগ হারানোর জন্য আগেও সমালোচিত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও একই কান্ড ঘটিয়েছেন। অভিষিক্ত আবদুল্লাহ শফিককে ফেরানোর নিশ্চিত সুযোগ হাতছাড়া করেছেন সে কারণেই লাঞ্চের পর ইনিংস শুরু করে চা বিরতি পর্যন্ত কোন উইকেটই হারায়নি পাকিস্তান। ওপেনাররা স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ৭৯ রান। যে শফিক ৯ রানেই ফিরে যেতেন সেই শফিক করে ফেলেছেন ২৭ রান, আবিদ আলী অপরাজিত আছেন ৫২ রানে।
অবশ্য রিভিউ নেওয়া-না নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেবল অধিনায়কের মর্জির ওপর নির্ভর করে তা নয়, এখানে বোলার-কিপারের বড় ভূমিকা থাকে। ১৩তম ওভারে তাইজুলের আর্মবল সরাসরি ফ্রন্ট প্যাডে গিয়ে লাগে শফিকের। তবে তাইজুল নিজেই অতটা আগ্রহী ছিলেন না, পেছন থেকে উইকেটকিপার লিটন দাসেরও অত বোঝার কথা নয়। কাজেই মুমিনুলও রিভিউ নেননি। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় এলবিডাব্লিউ হবার তিনটি শর্তই পূরণ করেছিলো ডেলিভারিটি।