ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় বৃহস্পতিবার মিরপুরে আবারও হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের বিপক্ষে তাদের পরাজয় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে বৃষ্টি-আইনে শাইনপুকুরের বিপক্ষে আবাহনীর জয় রানে। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে জিতেছে খেলাঘর। তাদের জয় ৫ রানে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসানের উইকেট হারায় তারা। সকালের সুর্য দেখেই নাকি জানা যায় দিন কেমন যাবে, মোহামেডানের ইনিংসটাও তেমন। ১০ ওভারে বোর্ডে তারা তোলে মাত্র ২৯ রান, ততক্ষনে প্যাভিলিয়নে চলে গেছেন ৬জন ব্যাটসম্যান। সাকিব আল হাসানও ফিরেছেন ০ করে। গত ৮ ম্যাচে সাকিবের তৃতীয় এবং ডিপিএলের ৬ ম্যাচে দ্বিতীয় ডাক সাকিবের। সেখান থেকে মোহামেডানকে লজ্জ্বার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন শুভাগত হোম চৌধুরী, তার ৫ ছক্কায় ৩২ বলে ৫২ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে মোহামেডানের বোর্ডে রান ৯ উইকেটে ১১৩। সোহাগ গাজী ৪ ওভারে ২ মেডেনে মাত্র ৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। জবাবে বোলিংয়ের মতোই উজ্জ্বল রুপগঞ্জ ওপেনাররা। সাবধানি শুরু করেন মেহেদি মারুফ ও পিনাক ঘোষ। অর্ধশতক পুরনের আগেই মাহমুদুল হাসানের বলে মেহেদি মারুফ আউট হইয়ে গেলেও পিনাক ছিলেন অবিচল। ৫১ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ম্যাচসেরা সোহাগ গাজী।
টসে জিতে বিকেএসপিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর। এ ম্যাচে নিয়মিত ওপেনার নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে আসেন আফিফ হসেন ধ্রুব। দুজনেই খেলেছেন দুর্দান্ত। তাদের জুটি ভাঙ্গে ১১১ রানে, আফিফ হোসেন ধ্রুব আউট হন ৫৪ রান করে। তিন নম্বরে নামা নাজমুল শান্ত ব্যাট করেছেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে, ৯ বলে তার সংগ্রহ ১৮। ৪ ছক্কায় মোহাম্মদ নাইম শেখ করেছেন ৭০। নির্ধারিত ২০ ওভারে আবাহনীর রান ১৮৩। জবাবে শুরু থেকেই ধুকেছে শাইনপুকুর। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেনি তারা। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়, যদিও বল খেলেছেন ৩২ টি। মাহিদুল অংকনের ১৫ বলে ৩১ ভাবিয়েছে শাইনপুকুর টিম ম্যানেজমেন্টকে। তার মতো আর কেউ যদি হাত খুলে খেলতেন তাহলে হয়তো ২৫ রানের আক্ষেপটা থাকতো না। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আলো ছড়িয়েছেন বল হাতে, ৩ উইকেট নিতে এই পেসার খরচ করেছেন মাত্র ১২ রান।
বিকেএসপিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে । নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ । ব্রাদার্সের পক্ষে ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন দলের অধিনায়ক, ওপেনার মিজানুর রহমান। ১৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় খেলাঘর। দলের হাল ধরেন মেহেদি মিরাজ ও জহুরুল ইসলাম। অধিনায়ক জহুরুল ২৬ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। যখন খেলাঘরের রান ৩ উইকেটে ১০৯ তখনই বৃষ্টির হাঁনা। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে খেলাঘরের জয় ৫ রানে।