দ্বিতীয় ইনিংস শেষে টাইগারদের লিড ২০১ রানের। প্রায় পাঁচ সেশন অবশিষ্ট থাকায় ড্রয়ের কথা ভাবার নেই কোনো সুযোগ। জিততে হলে দ্রুত উইকেট তুলে নেয়ারও নেই কোনো বিকল্প। বাংলাদেশ দল সেই লক্ষ্যেই করেছিল শুরু। কিন্তু শুরুতেই কেমন যেনো ছন্দহীন পুরো দল!
তৃতীয় ওভারে বল হাতে তাইজুল ইসলাম, ব্যস্ত ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ প্রয়োগের আপ্রাণ চেষ্টায়। কিন্তু, মিড উইকেটে দাড়ানো আবু জায়েদ রাহির কাছে যাওয়া দুইটি বলই তিনি করলেন মিস। দুইটি বল থেকেই আসলো তিন করে ছয় রান। পুরো দলের রক্ত তখন মাথায়!
পরের ওভারেই ইবাদতের বলে মুশফিকের থ্রো; স্ট্যাম্পের কাছে এগিয়ে এসে বলটি নিজের হাতে নিলেন নুরুল হাসান সোহান। সোহান যদি বলটি থামাতে না পারতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আরেকটি বাউন্ডারি পেতে পারত পাকিস্তান। সোহানের ব্যাকআপে যে ছিল না কেউই! এজন্যই তো শান্ত শিষ্ট লিটনের গলায় উচ্চস্বর, “দাড়ায় আছোস কেন? ব্যাকআপ যা।”
এখানেই শেষ নয়। ইতোমধ্যেই ইবাদতের লড়াই শুরু আবিদ আলীর সাথে। নিজের হাতে আসা বল থ্রো করলেন আবিদকে উদ্দেশ্য করেই। পরিণামস্বরুপ পরের বলেই চার! আবিদ সেখানেই থামেননি, এরপর যখন আবারও বোলিংয়ে এসেছেন ইবাদত তখন তাকে হাঁকিয়েছেন আরও দুইটি বাউন্ডারি। বাধ্য হয়ে ইবাদতকেই নিতে হয়েছে সরিয়ে, বোলিংয়ে আনতে হয়েছে মিরাজকে।
সবমিলে, চা বিরতিতে যাওয়ার আগে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩৮ রান।