এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলো শ্রীলঙ্কা। তবে শরিফুল ইসলামের জোড়া আঘাতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দাসুন শানাকার দলের সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান। চারিথ আসালাঙ্কা অপরাজিত আছেন ৮ রান করে, সাদিরা সামারাবিক্রমা ৬ রানে ব্যাট করছেন।
আগের তিন ম্যাচে শুরুতেই টাইগার পেসাররা দারুণ সুইং ও পেস দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন। হয়তো সেই কথা মাথায় রেখেই আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এদিন শুরুতে হতাশ করলেও ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে হাসান মাহমুদ-শরিফুল ইসলামরা।
প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। চতুর্থ বলে তাসকিন আহমেদের করা এলবিডব্লিউ এর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর টাইগার বোলারদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।
তবে বাংলাদেশকে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। টাইগার এই পেসারের আউট সুইংয়ে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। আউট হওয়ার আগে অবশ্য টানা দুই বলে দুটি চার মারেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যখন ফেরেন তখন তার নামের পাশে ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ রান।
এরপর উইকেটে এসে নিশাঙ্কাকে নিয়ে জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দেন কুশল মেন্ডিস। দুজনে মিলে খেলছিলেনও দারুণ। নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ১০৭ বলে ৭৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন শরিফুল। তার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪০ রানের ইনিংস। পরের ওভারে এসে উইকেটে থিতু হওয়া মেন্ডিসকে তাসকিনের ক্যাচ বানিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ডানহাতি ব্যাটার করেন ৭৩ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৫ ওভারে ২৯ রান দিয়ে দুইটি উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। একটি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।