বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই অসুস্থ ক্রিস গেইলের পিতা। ৪২ বছর বয়সেও খেলে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, মুখে চিরচেনা হাসিটা থাকে প্রতিটা মুহুর্তেই। নিজেকে যে মনে করেন ‘এন্টারটেইনার’, তাই দর্শকদের রাখতে চান আনন্দে মাতিয়ে। কিন্তু, দিনশেষে গেইলও মানুষই, পিতার জন্য কাঁদে মন। ভবিষ্যত ভাবনার কথা বলতে গিয়েই তাই জানালেন সবার আগে যেতে চান পিতার কাছে ছুটে।
“বাসায় ফিরতে চাই। বেশীরভাগ মানুষই জানে না বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই আমার বাবা অসুস্থ। তাই, আজকেই জ্যামাইকায় যেতে চাই। তার পাশে থাকতে চাই”
বাবার অসুস্থতার কথা বলতে বলতেই আবারো চিরচেনা রুপে গেইল। বাবার বয়স জানাতে গিয়ে মজা করে বললেন, “চিন্তার কোনো কারণ নেই। তার বয়স ৯১, সে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে। কিন্তু, ইনিংস বড় করতে তার কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।”
বাবার কথা বলতে বলতেই গেইল স্মরণ করিয়ে দিলেন কতো কিছু ত্যাগ করে খেলতে হয় খেলোয়াড়দের, “কখনো কখনো খেলোয়াড়দের জীবনে এমন কিছু ঘটে যেটা আমরা প্রকাশ করি না। এগুলো দৃশ্যের আড়ালেই থেকে যায়। এসবের সাথে মানিয়ে নিয়েই খেলোয়াড়দের খেলতে হয়, ভালো পারফর্ম করে যেতে হয়। আর, যখন পারফরম্যান্স খারাপ হয়, তখন সমালোচনাও শুনতে হয়।” সাথে সাথেই গেইল বলেন, “এগুলো কিন্তু অজুহাত হিসেবে বলছি না।”
সবার শেষে গেইলকে যখন দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে বলা হয়, তখন গেইল শুরুতেই দেন নিজের পরিচয়, মনে করিয়ে দেন সে যে ‘ইউনিভার্স বস’। গেইল ধন্যবাদ জানান দর্শকদের, “হ্যালো, আমি ক্রিস গেইল, ‘ইউনিভার্স বস’। দুর্দান্ত একটা ক্যারিয়ার শেষ করতে যাচ্ছি। যদিও, এখনো শেষ করিনি। যেভাবে পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে আমার পাশে থেকেছেন, আমি শুধু আপনাদের ধন্যবাদই দিতে পারি। এত বছর ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে সেবা দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমার হৃদয়ে ধারণ করে যাব। আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।”
অবসরে যাওয়া ডোয়াইন ব্রাভোকে উদ্দেশ্য করে গেইল বলেন, “ডিজে ব্রাভো, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।”