২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

সাকিবের সন্তুষ্টি দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ!

- Advertisement -

নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালের শুরু, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব আল হাসান ফিরছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, দশ মাস পর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এক সিরিজের সাথে আরো কত কি! করোনা পেন্ডামিকের মধ্যে বায়ু বাবলে বেশ অনেক আগেই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট শুরু হয়েছে। কিন্তু  বাংলাদেশের শুরুটা হচ্ছে উইন্ডিজের বিপক্ষে, ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। ক্রিকেটার, সমর্থক কিংবা ক্রিকেট বোর্ড সবার মধ্যেই অন্যরকম উচ্ছাস। আর জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। সবমিলিয়ে ক্রিকেটেই আগামী কিছুদিন বুঁদ হয়ে থাকবে ক্রিকেট ভক্তরা। মাঠ-ঘাট, চায়ের আড্ডা সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রতে থাকবেন টাইগার ক্রিকেটাররা। সিরিজটা কতটা চ্যালেঞ্জিংহবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য, একাদশ নিয়ে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর পরীক্ষা-নিরিক্ষাই বা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে  অলরাউন্ডারের সাথে কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তারই অংশ হিসেবে ব্যাটিং অর্ডারে সাকিবের পছন্দনীয় জায়গা তিন নাম্বারে অন্য কাউকে পরিকল্পনায় রেখেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। যার নামটা আসছে তিনি হচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বিষয়ে খালেদ মাসুদ মনে করেন ” সাকিবকে যে জায়গাতেই খেলানো হোকনা কেন, সব স্থানেই এই অলরাউন্ডার ফিট। নিজের মনন এবং মেধা দিয়ে ঠিকই সেরা ক্রিকেটার হয়েই থাকবেন। কিন্তু যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তাতে যেন বিশ্বাস থাকে সবার”।

নতুনদের সুযোগকে স্বাগত জানিয়েছে খালেদ মাসুদ। তবে তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেয়ার কথাও বলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। “বিদেশী কোচ পরিকল্পনা দিয়েছেন বলে তাঁর উপরই সব ছেড়ে দেয়া ঠিক হবেনা, বিসিবিসহ জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট সবাইকে জাতীয় দল নিয়ে পরিকল্পনায় তদারকি করতে হবে”। এ বিষয়ে শাহরিয়ার নাফিস মনে করেন “হেড কোচ সঠিক সিদ্ধান্তই  নিয়েছেন। মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞদেরকে রাখাটা খুব জরুরি। সাকিবকে তিনে না খেলিয়ে শান্তুকেই রাখা উচিত”।

বলা হচ্ছে উইন্ডিজ দল বাংলাদেশ সফরে এসেছে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে। তারকা সারির দশজন ক্রিকেটার আসননি করোনা আতংকে। তাই এই সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট থাকবে দুই ফরম্যাটে। নাফিস বলেছেন- “এই সফর থেকে ক্যারিবিয়ানরা কিছুই নিয়ে ফিরতে পারবেনা। বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে। তবে বাংলাদেশের জন্য একটু চ্যালেঞ্জ হবে অনেক দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামছে। এদিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকবে উইন্ডিজরা। তারা ইতিমধ্যে দুই দেশ সফর করেছে। তারপরও তামিমরা ৩-০ ব্যবধানেই ওয়ানডে সিরিজ জিতবে”।

হোম সিরিজে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করতে স্পিনই হচ্ছে বাংলাদেশ দলের মূল ভরসা। সেই আদলই তৈরী হয় উইকেট। টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া থাকে সেরকমই। ম্যাচ জিততে হবে সে নেশাই পেয়ে যায় টাইগারদের। কিন্তু এমন ধারণা থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ ” হোমে সিরিজ হলেই আমরা স্পিন উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করি। আবার উপমহাদেশের বাহিরে গেলে পেস সহায়ক উইকেটে খেলতে হয়। আপনি দেখুন ভারত এই উপমহাদেশের দেশ হয়েও অস্ট্রেলিয়ার মতো কন্ডিশনে কেমন রাজত্ব করেছে। এটাই হচ্ছে আইডল ক্রিকেট দল। যে কোন কন্ডিশনেই খেলার যোগ্যতা থাকতে হবে। তাই বলবো উইন্ডিজ সিরিজে এমন উইকেটেই অভ্যস্ত করানো উচিত ক্রিকেটারদের”।

এবারের সিরিজে তরুণ পারফর্মার আছেন বেশ কয়েকজন। তাদেরক যথেষ্ট সময় নিয়ে ভবিষ্যত সাকিব-তামিম হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শও দিয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট ও শাহরিয়ার নাফিস।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img